মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও
একটি সময় নিজের সংসারে অভাব থাকলেও এখন কারখানায় ৪শ এর মতো মানুষের আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছেন সামসাদ আকতার ও হযরত আলী দম্পতি।
মাসে তাদের আয় প্রায় ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। একদিকে যেমন নিজে হয়েছেন কোটিপতি, অপরদিকে নিজ এলাকার মানুষদের জন্যও করেছেন কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের বিশ্রামপুর গ্রামের এই দম্পতি একটি সময় সংসার চালাতেই হিমশিম খেতেন।
এরপরেও চেষ্টা চালিয়ে গেছেন পরিবারের অভাব দূর করে নিজেদের স্বাবলম্বী করে প্রতিষ্ঠিত করার। পরর্বীতে ঢাকার একটি গার্মেন্টস এ কাজ শুরু করেন হযরত আলী। সেখানে কিছুদিন কাজ করার পরে ২০০৫ সালে নিজের বাসায় স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা থেকে ১০ হাজার টাকা ঋণ নিয়ে শুরু করেন পাপোশ বানানোর কাজ।
প্রথম দিকে নিজ এলাকার ৭ জন নারী পুরুষকে কাজের প্রশিক্ষণ দিয়ে শুরু করেন পাপোশ বানানোর কাজ। ধীরে ধীরে লাভবান হওয়ায় বাড়তে থাকে কাজের পরিধি। বর্তমানে তার কারখানায় কাজ করে স্থানীয় প্রায় ৪শ জন নারী পুরুষ। প্রতি মাসে দেয়া হয় তাদের পারিশ্রমিকও। এতে করে তাদের সংসারে ফিরেছে স্বচ্ছলতা। বর্তমানে ঐ দম্পত্তির ছোট বড় পাপোশ কারখানা রয়েছে ৫টি। যেখানে স্থানীয় এলাকার প্রায় ৪শ জন নারী পুরুষ কাজ করেন। দৈনিক তাদের কারখানা থেকে ৭শ থেকে ৮শ পিস পাপোস তৈরী হয়।
যা স্থানীয়ভাবে বিক্রি করার পরেও দেশের বাহিরে বিক্রি করেন তারা। মাসে কারখানা থেকে ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা পাপোশ বিক্রি করা হয়। হযরত আলী ও সামসাদ আকতার দম্পত্তি জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আরো মানুষের জন্য কর্মসংস্থান করতে পারবেন তারা।