মোঃ শফিয়ার রহমান খুলনা পাইকগাছা প্রতিনিধি
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খুলনার পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর বাজারে জমে উঠেছে পশুর হাট। বিগত বছরের পশু হাটের সময় বৃষ্টির দেখা মিলেছে। এ বছর বৃষ্টি না হলেও প্রচন্ড গরমে ক্রেতাদের আদিখ্য দেখা দিয়েছে। পর্যাপ্ত গরু ছাগল উঠলেও ক্রেতা সংকটের কারণে গরুর মালিকদের মধ্যে হতাসা দেখা দিয়েছে।
চলতি বছর গৃহপালিত গরু ছাগল নানা রোগে আক্রান্ত হওয়ায় গরুর মালিকরা গরুগুলো বিক্রির জন্য আগ্রহী হয়ে উঠলেও ক্রেতা সংকটের কারণে তাদের সে আশা পূরণ হচ্ছে না। এ দিকে বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল উঠলেও বিক্রি তেমন হচ্ছে না এমনটি জানান বিক্রেতারা। এখন পর্যন্ত ভারতীয় গরু দেখা না গেলেও বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়েই গরু কেনা-বেচায় খুশি নন।
ক্রেতাদের অভিযোগ দাম বেশি আর বিক্রেতাদের অভিযোগ তেমন দাম মিলছে না। আশানুরূপ দাম না পেয়ে নাখোশ বড় আকারের গরুর মালিকরা। পশুর হাটে ইজারাদার ও পুলিশ প্রশাসন নিরাপত্তায় কাজ করছে। কোরবানির ঈদ উপলেক্ষে উপজেলার এই গদাইপুর বাজারে নিয়মিত প্রায় প্রচুর পরিমাণে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল বেচা-কেনা হচ্ছে।
বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারীরা এ সময় এসব হাটে প্রচুর পরিমাণে কোরবানির গরু বিক্রি করে। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য শেষমূহুর্তে পচ্ছন্দের গরু-ছাগল ক্রয় করতে হাট-বাজারগুলোতে ভিড় করছেন। ঈদের কয়েকটা দিন বাকি থাকায় বিভিন্ন জেলা হতে পাইকারেরা হাট-বাজারে ভিড় করলেও গো-খাদ্যের দাম ও গাড়ি ভাড়া কয়েকগুণ বেশি হওয়ায় চাহিদা অনুযায়ী গরুর দাম বেশি পড়ায় লোকসানের আশংকা পাইকারদের।
তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ খড়, ভুষিসহ বিভিন্ন গো-খাদ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সারা বছর একটি গরু পালন করতে যে ব্যয় হয় সে তুলনায় গরুর দাম পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান বিক্রেতা বা খামারীরা। অনেক খামারীরা জানান, গো-খাদ্যের দাম বেশি হওয়ায় গরু পালনে খরচ বেড়ে গেছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে না পারলে এবার খামারিদের লোকসান গুনতে হবে। এদিকে দুর্বৃত্তরা জাল টাকা ছড়িয়ে দিয়ে যেন সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করতে না পারে সে জন্য হাট কমিটির লোকজন ও পুলিশ তৎপর রয়েছে বলেও জানা যায়।