লাইফস্টাইল ডেস্ক
হাঁচি এলে হাঁচুন। হাঁচি আটকে রাখলে মারাত্মক ক্ষতি। এখন টের না পেলেও, পরে মাসুল গুনতে হবে কড়ায় গণ্ডায়। ডাক্তার গবেষকদের একাংশের মতে, হাঁচি চাপলে হতে পারে মারাত্মক বিপদ।
গবেষকরা বলছেন, হাঁচির শব্দ নাক থেকে প্রচণ্ড গতিতে বেরিয়ে এসে বাতাসে মেশে। সেই গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ মাইল থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ মাইল পর্যন্ত হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, বহির্মুখী এই চাপকে জোর করে শরীরের ভেতরে গিলে নিলে ভেতরে বহু ক্ষতি হতে পারে।
কী কী ক্ষতি হতে পারে এতে?
গবেষকরা বলছেন, ল্যারিংসে ফাটল ধরতে পারে, কোমরে ব্যথা হতে পারে, মুখের নার্ভে ক্ষত হতে পারে। এখানেই শেষ নয়। জোর করে হাঁচি চাপিয়ে রাখলে এর থেকেও বড় বিপদ ঘটতে পারে। কানের পর্দা ফেটে যাতে পারে। সেক্ষেত্রে বধির হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।
হাঁচির চাপ শরীরের ভেতরে গেলে পাঁজর পর্যন্ত গুঁড়িয়ে যেতে পারে। চিকিৎসকদের বক্তব্য, হাঁচির প্রেসার বাইরে বেরিয়ে যাওয়াই স্বাভাবিক নিয়ম। সেই চাপকে জোর করে শরীরের ভেতর চালনা করলে তা মস্তিষ্ক ও দেহের বিভিন্ন জায়গায় এলোপাথাড়ি তরঙ্গ তৈরি করে। ওই তরঙ্গের আঘাতে শরীরে প্রচুর ক্ষতি হয়।
হাঁচির মাধ্যমে শরীর থেকে ভাইরাস বেরিয়ে যায়। হাঁচি নাকের নালি পরিষ্কার করে। একে প্রোটেক্টিভ রিফ্লেক্স বলা হয়। জোর করে হাঁচি চাপিয়ে রাখলে সংক্রামিত মিউকাস ইউস্ট্যাশিয়ান টিউবের মাধ্যমে কানের মধ্যে প্রবেশ করে। এতে কানের মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তাই হাঁচি চেপে রাখা তো নয়ই, হাঁচির সময়ে নাক বা মুখও চেপে ধরবেন না। তাতে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। যদি এমন অভ্যাস আপনারও থেকে থাকে, তাহলে তা আজই ত্যাগ করুন। নইলে কিন্তু বিপদের শেষ থাকবে না।