মোঃ সবুজ, ভোলা জেলা প্রতিনিধি
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, দালালের সাথে জড়িত হাসপাতালের কর্তাবাবুরা। অনুসন্ধান করে দেখা যায়, দীর্ঘদিন ধরেই হাসপাতালটি দালালের নিয়ন্ত্রণে চলছে আর সুবিধা নিচ্ছে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা।হাসপাতালে রোগী ঢোকার সাথে সাথেই রোগীকে কিভাবে প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে পাঠাবে টেস্ট করানোর জন্য তা নিয়ে ব্যাস্ত হয়ে পড়ে স্টাফসহ হাসপাতালের কর্তৃপক্ষরা। আর এর ফাঁকে হাতিয়ে নিচ্ছে ৪০/৫০% কমিশন। আর কমিশন নিতে গিয়ে রোগী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পছন্দের জায়গায় পরিক্ষা না করালে রীতিমত বিভিন্ন ভাবে হয়রানির শিকারও হতে হয়।
ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ মনিরুল ইসলাম জানান, দলালরা যে রোগীদের কাগজ নিয়ে টানাটানি করে এবং রোগীদের হয়রানি করে। হয়রানির হাত থেকে বাঁচতে রোগীরা তার কাছে অভিযোগ করেছে।তিনি বলেন, যদি হাসপাতালের কোনো লোক জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ও ব্যবস্থা নিবেন। দালাল নির্মুলে তার চেষ্টা অব্যহত রয়েছে। কিন্তু দালাল নির্মুলের অভিযানে দালালদেরকে আটক করা হলে রাজনৈতিক নেতাদের তদবিরে ছাড়িয়ে আনার কারণে হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা সম্ভব হবে না।তবে ভোলার সচেতন মহলের দাবি, দালাল নির্মুল করতে হলে এতো অল্প জরিমানা করে ছেড়ে দিলে দালালের উৎপাত আরো বাড়বে কারণ এক রোগীর কাছ থেকে পায় ১৫০০/২০০০ টাকা। আর জরিমানা দিয়ে পার পাবে ১০০০ টাকা সাজা না দিলে হাসপাতাল থেকে দালাল নির্মুল করা কোনোদিন সম্ভব হবে না।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম ভুইঞা দৈনিক তালাশ টাইমস্ কে জানান, ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল থেকে দালাল চক্রের তিন সদস্যকে হাতে নাতে ধরা হয়েছে। তারা হলেন- রাকিব বরিশাল সিটিস্কিন সেন্টার, নাফিজ আল মমিন আরিফ জয়নাল আবেদিন।
তিনি বলেন, প্রথমবারের মতো তাদেরকে ১০০০ হাজার টাকা করে তিনজনকে তিন হাজার জরিমানা করে মুছে লেখা নিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। দিতীয়বার তাদেরকে পাওয়া গেলে বড় ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে।