যশোর জেলার পুলিশ সুপার জিয়া উদ্দিন আহম্মেদ মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) এবং শহিদুল ইসলাম হাওলাদার, ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ, ডিবি এর তত্ত্বাবধানে ডিবি’র টিম জেলায় সংঘটিত বিভিন্ন চুরি, ডাকাতি, অপহরণ, হত্যার রহস্য উদঘাটনসহ অবৈধ অস্ত্রগুলি উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রেখেছিলেন।
গত ৪ নভেম্বর রাতে যশোর খোলাডাঙ্গায় জামাত নেতা আমিনুল ইসলাম সজলকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা তদন্তে ডিবি’র এসআই মফিজুল ইসলাম, পিপিএম এর নেতৃত্বে একটি টিম তথ্য প্রযুক্তি ও গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ইং ০৬/১১/২০২৪ তারিখ রাত ১১.১০ ঘটিকার সময় খোলাডাঙ্গা গাজিরহাট বাজার থেকে তদন্তে প্রাপ্ত ২ সদস্য ( সাকিন ও আল-আমিন) দ্বয়কে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনায় জড়িত অন্যান্যদের নাম প্রকাশ করে।
প্রযুক্তিগত দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের পূর্বের ধারণকৃত একটি ভিডিও ফুটেজ পুলিশ জব্দ করে। ফুটেজটি পর্যালোচনায় দেখা যায়, মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামী লাবিব, সাকিনসহ ৪/৫ একটি মাদক সেবনের আসরে চাকু ও রিভলবার নিয়ে প্রশিক্ষন নিচ্ছে। উক্ত ভিডিও এর সূত্র ধরে সাকিন এর তথ্য মোতাবেক অভিযান পরিচালনা করে ভিডিওতে প্রাপ্ত কিশোর গ্যাং এর ০৩ সদস্য ( রায়হান, সাগর ও রিয়াদ) দের গ্রেফতার করে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক রায়হান এর বসতবাড়ির সিড়িপথের নীচ থেকে ইং ০৭/১১/২০২৪ তারিখ রাত ০১.৩০ ঘটিকার সময় ২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদের নিয়ে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী লাবিব এর বাসায় অভিযান করে লাবিব শয়ন কক্ষে তল্লাশী করে হত্যা কাজে ব্যবহৃত ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ২ জন্য ( আল-আমিন ও সাকিন) নিজেদেরকে জড়িয়ে জামাত নেতা সজল এর হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ১৩/১৪ জনের নাম প্রকাশ করে জানায় যে, ঘটনার ১৫/২০ দিন আগে এলাকার জনৈক ফখরুল ইসলাম এর এক স্বজনকে আসামী স্বরন ও রবিন পথরোধ করে ব্যাগ তল্লাশীর ঘটনায় ফখরুল ইসলাম বিষয়টি নিহত সজলকে নিয়ে প্রতিবাদ করে, আসামী স্বরণ, লাবিব ও রবিনকে চড়থাপ্পর মারে নিহত সজল। উক্ত আক্রোশে আসামী স্বরণ, লাবিব ও রবিন সজলকে হত্যার পরিকল্পনা করে সঙ্গীয় ১০/১২ জনের সহযোগীতায় ৪ নভেম্বর রাত অনুমান ০৭.১০ ঘটিকার সময় নামাজে যাওয়ার সময় পথিমধ্যে সজলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়িভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে চাকু দ্বারা ২১টি স্ট্যাব করে রক্তাক্ত জখম করে। রক্তাক্ত সজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সজলকে মৃত ঘোষনা করে। এই ঘটনায় আটক ২ জনের তথ্যের ভিত্তিতে কিশোর গ্যাং এর আরো ৩ সদস্যকে গ্রেফতার করে ২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ হত্যাকাজে ব্যবহৃত ১টি বার্মিজ চাকু উদ্ধার সংক্রান্তে আসামীদের বিরুদ্ধে এসআই মফিজুল ইসলাম,পিপিএম বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করেন।
- গ্রেফতারকৃত আসামীর তথ্য:
সাদমান রহমান সাকিন(১৯), পিতা-আছাবুর রহমান হাসিব, মাতা-মৌসুমি আক্তার, সাং-বারাশাত, থানা-তেরখাদা, জেলা-খুলনা, এ/পি-খোলাডাঙ্গা সরকারি ক্লিনিকের সামনে নানা আবুল বাশার বাবু এর বাড়ী, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর,
মোঃ আল আমিন হোসেন(১৮), পিতা-মোঃ আমজাদ হোসেন, মাতা-শাহিনুর বেগম, সাং-খোলাডাঙ্গা মফিজ পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর,
আগ্নেয়াস্ত্রসহ কিশোর গ্যাং এর ৩ সদস্য গ্রেফতার :
রায়হান আহমেদ(২১), পিতা-মোঃ লুৎফর রহমান, মাতা-নারগিস বেগম, সাং-খোলাডাঙ্গা মফিজ পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর,
আব্দুর রহমান সাগর(২১), পিতা-বাবলু মোড়ল, মাতা-রহিমা বেগম, সাং-খোড়কি সার্কিট হাউজ পাড়া, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর, রিয়াদ হাসান(২১), পিতা-ইসমাইল হোসেন, মাতা-শিরিনা খাতুন, সাং-খোলাডাঙ্গা গাজীর বাজার, থানা-কোতয়ালী, জেলা-যশোর,
উদ্ধারকৃত আলামত গুলো হলো:
১টি রিভলবার,১টি ও বার্মিজ চাকু ,১ টি ওয়ান সুটার গান ,ও ১ টি মোবাইল ফোন।