পটুয়াখালীর বাউফলে আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার কনকদিয়া ইউনিয়নের (বিরপাশা বাজার রোড সংলগ্ন) জয়ঘোড়া গ্রামের মোঃ কুদ্দুস মোল্লা (৫৫) ও মোঃ আইয়ুব আলী মোল্লা (৪৫) সর্ব পিতা মৃত্যু আঃ ছত্তার মোল্লা এবং তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। জোরপূর্বক জমিতে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ করেন মোঃ রবিউল আলম।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসএ জরিপ ও দিয়ারা জরিপে রেকর্ডীয় মালিক আঃ সালাম।মোট ১২ শতাংশ জমির মধ্যে সাড়ে ৭ শতাংশ জমি ভোগদখলে আঃ সালাম এর পুত্র রবিউল আলম।উল্লেখিত জমির জেএল নং ৯, মৌজা বিরপাশা, খতিয়ান ৭৩৩ এর ১৭০৮ নং দাগ।উক্ত জায়গায় জবর দখল করে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকার থাকাকালীন রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের মাধ্যমে ক্ষমতা ব্যবহার করে পাকা ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ কুদ্দুস মোল্লা ও আইয়ুব আলী মোল্লা গংদের বিরুদ্ধে।
ঐ জমিতে রবিউল আলম বাদী হয়ে পটুয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করে বিবাদমান জমির ওপর আদালত ১৪৪/১৪৫ ফৌঃ আঃ বিঃ আইন ধারা জারি করে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং জমি যে অবস্থায় আছে সেই অবস্থায়ই থাকবে,আকার আকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না বলে আদেশ দেন। ওই আদেশের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দিলেও পুলিশ চলে গেলে লুকোচুরি করে আবার কাজ করতে থাকে।আদালতের নিষেধাঞ্জা অমান্য করে ভবন নির্মাণ কাজ করায় ভুক্তভোগীরা একপর্যায়ে হয়রানির শিকার হচ্ছে।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায়,৫-৬ জনে কাজ করে এবং(সেন্টারিংয়ের) উপরে কাজকর্মের জিনিসপত্র দেখা যায়। তবে বিবাদীরা জানান তারা কাজ বন্ধই রেখেছেন। তাহলে কাজ করার জিনিসপত্র কেন এখানে রয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তরে বলেন- এগুলো আগে থেকেই এখানে ছিলো, আমরা কোনো কাজ করি না।
এ বিষয়ে রবিউল আলম জানান, আদালতে ৩০/১০/২০২৪ ইং একটি দেওয়ানী মামলা দায়ের করা হয় যার মামলা নং এমপি ১৩০/২০২৪ এবং বিবাদমান জমির ওপর আদালত ১৪৪ ধারা জারি করে নিষেধাজ্ঞা দেন এবং জমি যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায়ই থাকবে। আকার আকৃতি পরিবর্তন করা যাবে না বলে আদেশের পরেও কুদ্দুস মোল্লা ও আইয়ুব আলী মোল্লা গং কাজ করেন।
এ বিষয়ে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ কামাল হোসেন জানান,’পাকা ভবন নির্মাণের বিষয়টি আমি জেনেছি। বাদীপক্ষ আমার কাছে অভিযোগ করেছেন এবং আদালতের নিষেধাজ্ঞা নির্দেশের কপি পেয়েছি। বিবাদী পক্ষ যদি আদালত অবমাননা করে সেটা আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কোন সুযোগ নেই। ভবনে সেন্টারিংয়ে পর্যন্ত যা বিদ্যমান রয়েছে সেখানে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ভবনের ঢালাই সহ যাবতীয় কাজ বন্ধ থাকবে।