নিজস্ব প্রতিবেদক
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে গুলি চালিয়ে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়ে করা রিটের শুনানি পিছিয়ে ২৫ আগস্ট নির্ধারণ করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি মো. মাহবুবুল উল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। রিটের পক্ষে রিটকারী আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া নিজেই শুনানি করেন।
গত ১৯ আগস্ট মানবাধিকার সংগঠন সারডা সোসাইটির পক্ষে আরিফুর রহমান মুরাদ ভূঁইয়া আদালতে এ রিট করেন।
রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি কার্যালয়ের জনবিভাগের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, আইন সচিব, নির্বাচন কমিশন সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, বিএফআইইউ প্রধান এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়কদের বিবাদী করা হয়েছে।
রিট দায়েরের পর আরিফুর রহমান জানান, আবেদনে দেশ সংস্কারের লক্ষ্যে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ সর্বনিম্ন তিন বছর করতে, ছাত্র-জনতাকে নির্বিচারে হত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও নিবন্ধন বাতিল, বিদেশে পাচারকৃত ১১ লাখ কোটি টাকা ফেরত আনা, যেসব প্রতিষ্ঠান পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্বৈরশাসক শেখ হাসিনার সেগুলোর পরিবর্তন করার নির্দেশনা চাওয়া হয়।