মিজানুর রহমান ফরিদপুর
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কাইচাইল ইউনিয়নের কাইচাইল গ্রামে বাড়ির জায়গা জোরপূর্বক দখল করায় বাড়ির মালিক মতি মিয়া(৭১) পিতা- মৃত ধলা মিয়া গ্রাম – মধ্য কাইচাইল থানা – নগরকান্দা জেলা ফরিদপুর বাদী হয়ে গত ৬/১০/২০২৩ ইং তারিখে জবর দখলকারী একঐ বাড়ির মাওলানা তৈয়াব আলী মুন্সি (৪০) পিতা- মৃত আকমাল মুন্সি, থানা নগরকান্দা, জেলাঃ ফরিদপুর গংদের ৪ জনের নামে ফরিদপুর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা করেন। মামলার আসামীরা হলেন ১। মাওলানা তৈয়াব আলী(৪০) পিতা- মৃতঃ আকমল মুন্সি ২।মোঃ আমির হোসেন মুন্সি (৪২) পিতাঃ মুত- আকমল মুন্সি ৩।মোসাঃ তাহেরা বেগম (৩২) ৪। মোঃ হাবিব উল্লাহ(২০)পিতা- আমির হোসেন সর্ব সাং কাইচাইল, থানাঃ নগরকান্দা। মোকদ্দমা ভূমি অপরাধ আইন ২০২৩ সালের ৭/৪/৫/৫০৬(বি) ধারা। ১৯১ নং কাইচাইল মৌজার বি,এস ১৫৬৮ নং খতিয়ানের বি,এস ৮৫৭ নং দাগের ১১ শতাংশ জমি বাড়ির জায়গা।
মামলার বাদী মতি মিয়া সুদের টাকায় ধারদেনা হওয়ায় বাড়ি ঘর ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। এদিকে তার ছেলের এনায়েত মাতুব্বর মাওলানা তৈয়ব মুন্সির কাছ থেকে সুদে ব্যাজ করে ১ লাখ টাকা নেয় এবং সেই টাকা সুদে আসলে অনেক বেশী টাকা দাবী করেন এবং মতি মিয়ার পরিবারের লোকজন কেউ বাড়িতে না থাকার সুযোগে ৩ টি বসতঘর,রান্নাঘর,গোয়ালঘর ভেঙ্গে ঘরের মালামাল সহ নিয়ে যায় এবং উক্ত জায়গায় জবর দখলকারী মাওলানা তৈয়ব মুন্সি নিজে ঘর তুলে জমির গাছপালা কেটে জমির শ্রেনী পরিবর্তন করে বলে মতি মিয়া বলেন।
ভুক্তভোগী জমির মালিক মতি মিয়া আরও বলেন বিবাদীদের বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য আমার বাড়ির জায়গার উপর দিয়ে রাস্তার জন্য জায়গা না দেওয়ায় তারা আমার পরিবারকে ভয়ভীতি মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় নিজের বাড়িতে যেতে পারছিনা।এছাড়া তারা অন্যের দেওয়া আমার স্ট্যাম্প, ও ব্লাংক চেক নিয়ে তারা ২০ লাখ টাকার দায়ধারা দিয়ে আমাদের নামে মামলা করছে।
তাদের ভয়ে আমরা আমার বাড়িতে যেতে পারছিনা।জবর দখলকারীরা বলে বেড়াচ্ছে যে আমার বাড়ির জমি নাকি তারা কিনে নিয়েছে।আমি কারও কাছে আমার বাড়ির জায়গা বিক্রি করি নাই তাদের কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেইনি।
বিবাদী মাওলানা তৈয়ব মুন্সি বলেন, মতি মিয়া তার বাড়ির ১১ শতাংশ জমি বিক্রয় বাবদ আমার কাছ থেকে ৮ লাখ টাকা ধরে ৭ লাখ টাকা নেয়, কিন্তু আজকাল করে ৪ থেকে ৫ বছর হয় দলিল করে দেয়না, কি করব আমি সেই জায়গায় ঘর তুলে বসবাস করছি।অন্যের নিকট থেকে আনা ৩ টি ব্লাংক চেক ও ২ টি স্ট্যাম্প লেখা ছাড়া দেখান কিন্ত জমি ক্রয়ের কোন দলিলপত্র দেখাতে পারেনি। ভুক্তভোগী মতি মিয়া আদালতে মামলা দিলে বর্তমানে মামলাটি নগরকান্দা থানা পুলিশের তদন্তনাধীন রয়েছে।