আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সৌদি ধনকুবের এবং সাবেক শীর্ষ সন্ত্রাসী ওসামা বিন লাদেনের প্রতিষ্ঠিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আলকায়দা নেটওয়ার্কের শীর্ষ নেতৃত্বে রয়েছেন তার এক ছেলে হামজা বিন লাদেন। বর্তমানে তিনি আফগানিস্তানে বসবাস করছেন এবং সেখান থেকেই গোষ্ঠীর সদস্যদের নির্দেশ–দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
বিদেশি সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, বাবার তৈরি সংগঠন আল কায়দাকে নতুন করে বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে কাজ শুরু করে দিয়েছে হামজা। তার এই কাজে সহায় হয়েছে লাদেনের আর এক পুত্র তথা হামজার ভাই আবদুল্লা বিন লাদেন। রিপোর্ট অনুযায়ী, নতুন করে সঙ্গী জুটিয়ে আফগানিস্তানেই ক্যাম্প শুরু করে দিয়েছে। ‘ক্রাউন প্রিন্স অব টেরর’ হিসেবে পরিচিত হামজার নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৪৫০ জন স্নাইপার যোদ্ধা।
২০২১ সালে মার্কিন সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার পর আফগানিস্তানের দখল নিয়েছে তালিবান। এর পর নতুন করে সেখানে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দিতে শুরু করেছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলি। এই পরিস্থিতিতে জানা যাচ্ছে, অ্যান্টি তালিবান মিলিটারি সংগঠন হিসেবে আফগানিস্তানে কাজ শুরু করে দিয়েছে হামজা। আল কায়দাকে নতুন করে সংগঠিত করার পাশাপাশি আফগানিস্তানের পঞ্চশিরের দিকে এগোচ্ছে সে। তার নিরাপত্তায় নিযুক্ত রয়েছে, আরব ও পাকিস্তানের ৪৫০ নিরাপত্তারক্ষী।
টুইন টাওয়ারে হামলার বর্ষপূর্তির দিন ২০১৯ সালে প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, লাদেনের পুত্রকে খতম করেছে আমেরিকা। যদিও কবে মারা হয়েছে, সে বিষয়ে স্পষ্ট করেননি তিনি। এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘ওসামা বিন লাদেনের পুত্র এবং আল কায়েদার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হামজা বিন লাদেন আফগানিস্তান-পাকিস্তান অঞ্চলে আমেরিকার সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে মারা গিয়েছে।’
উল্লেখ্য, টুইন টাওয়ারে হামলার পর ২০১১ সালে ওসামা বিন লাদেনকে হত্যা করে আমেরিকা। ওসামা বিন লাদেনের পরে বয়স্ক নেতাদের প্রভাব ফিকে হতে থাকায় তরুণ মুখ হামজাই হয়ে উঠেছিল আল কায়দার নতুন মুখ। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত নানা একাধিক অডিও বার্তায় শোনা গিয়েছিল, সিরিয়ায় কট্টরপন্থীদের জোট গড়ার কথা বলছে হামজা। তরুণদের ওসামার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্য পশ্চিমী দেশগুলির রাজধানীতে হামলা চালানোর বার্তা দিত ওসামা-পুত্র। লাদেন-পুত্রের মাথার দাম এক সময় ১০ লাখ ডলার ঘোষণা করেছিল আমেরিকা।