মোঃ সবুজ স্টাফ রিপোর্টার
ভোলা-২ (দৌলতখান-বোরহানউদ্দিন) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল ও তার ছোট ভাই তোফায়েল আহমেদ এর পালিত ছেলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লবসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ভোলা সদর মডেল থানায় একটি ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) মোঃ জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার বিবরনে জানা যায়, ভোলা-২ আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব হাফিজ ইব্রাহিম ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে আংশ নেয়ার জন্য ভোলা থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় যাওয়ার পথে ভোলা শহরের যুগীরঘোল এলাকায় ভোলা-২ আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্যের পেটুয়া বাহিনী দ্বারা বাঁধাগ্রস্ত হয়ে উকিল পাড়া হোটেল প্যাপিলিয়নে এসে অবস্থান নেয়।
এ সময় সাবেক এমপি আলী আজম মুকুল ও তার ভাই জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকীবের নেতৃত্বে একদল উশৃঙ্খল নেতা-কর্মীরা হাফিজ ইব্রাহিমকে হোটেলে অবরুদ্ধ করে রাখে। এ সময় হোটেলে গুলি বর্ষন, ককটেল ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পরে হোটেলের গেট খুলে না দেয়ায় সিকিউরিটি গার্ড জহিরুল ইসলামকে মারধর করে বেঁধে রাখে। তারা হাফিজ ইব্রাহিমকে হোটেল থেকে বের করে না দিলে হোটেলে আগুন লাগিয়ে দেয়ার হুমকী দেয় এবং হাফিজ ইব্রাহিমকে অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করে।
এ ঘটনায় প্রশাসনের লোকজন এসে জহিরুলকে উদ্ধার করে এবং হাফিজ ইব্রাহিমকে তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে এক ঘন্টার মধ্যে ভোলা জেলা ত্যাগ করার অনুরোধ করে। প্রশাসনের অনুরোধ ক্রমে ও নিজেদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে পুলিশ প্রহরায় তারা হোটেল থেকে ইলিশা লঞ্চ ঘাটে যাওয়ার পথে পূনরায় আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীরা সংগঠিত হয়ে পুলিশের নিরাপত্তা বেষ্টনি ভেঙ্গে গাড়ি বহরে হামলা চালিয়ে ভাংচুরসহ বোমা ও গুলি ছোঁরে। এতে সফরসঙ্গী মোসলে উদ্দিন ও জসিম খাঁসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় ২ সেপ্টেম্বর ২০২২ তারিখে ভোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করতে গেলে সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এর নির্দেশে মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে ভোলা কোর্টে মামলা দায়ের করতে গেলে তৎকালীন পিপির বিরোধিতায় মামলাটি আমলে নেয়নি আদালত।
গত ৫ আগস্ট ২০২৪ এ ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ২ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে সাবেক সাংসদ আলী আজম মুকুলসহ ৭২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে হাফিজ ইব্রাহিম এর সফরসঙ্গী জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে ভোলা সদর মডেল থানায় এ মালাটি দায়ের করে।