ঝিকরগাছা থানাধীন হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকুমড়া গ্রামে হারুন অর রশীদের বাঁশ বাগানে ঝোপের মধ্যে ভিকটিম সাদিয়া খাতুন(০৭), পিতা: বাবু, মাটিকোমরা, ইউনিয়ন : হাজিরবাগ, থানা ঝিকরগাছা, জেলা যশোর এর লাশ পাওয়া যায়। জানা যায় মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ভিকটিম সাদিয়া খাতুনকে।
পরিবার ও গ্রাম বাসী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে ,না পেয়ে সন্দেহজনক আসামি চম্পা(২০), পিতা আনিচুর মোড়ল, মাটিকুমড়া বাসিন্দা তাকে আটক করে রাতে ঝিকরগাছা থানায় সোপর্দ করে। এরপর গ্রামবাসী মিলিত ভাবে ভিকটিমকে খোঁজাখুঁজির করে।
এক পর্যায়ে হারন অর রশীদের বাগানে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেয়। ঝিকরগাছা থানায় খবর দিলে থানার অফিসার ইনচার্জ সহ অফিসার ফোর্স ঘটনাস্থলে রওনা করেন। ভিকটিমের পরিহিত জামা গলায় পেঁচিয়ে হত্যা করা হয় শিশুটিকে। আসামের চম্পা রানী একজন মাদকাসক্ত দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাদক সেবন করে বলে জানা যায় এবং মাঝেমধ্যে তার পিতা-মাতাকে মারধর করে বলে স্থানীরা জানাই। শিশু সাদিয়ার মা জানান মঙ্গলবার দিবাগত দিনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় খেলাধুলা করে মানুষের চোখে ফাঁকি দিয়ে পাশের বাগানে নিয়ে যায়।
শিশু সাদিয়ার কানের দুল নিয়ে গলায় কাপড় পেঁচিয়ে হত্যা করে যশোরে চলে যায় গহনা বিক্র করে হোটেল বিরানি খেয়ে বাড়ি ফিরে আসে চম্পা। শিশু সাদিয়ার পরিবার চম্পার ফাঁসির দাবি জানায় ঝিকরগাছা থানা পুলিশ ঘটনাটি অবগত হয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘটনা অনুসন্ধান সহ লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পঠান। এবং এ সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।