ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বিপ্লবী ও সংহতি দিবস পালন কালে দৈনিক আজকের বার্তার সাংবাদিক শামীম আহমেদকে মারধর করে বিএনপির বহিষ্কিত নেতা দুলাল মাদবর।
ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার একাধিক গণমাধ্যমের কর্মীরা সেখানে নিউজ সংগ্রহ করতে যায়। এ সময় দলটির জেলার সিনিয়র নেতাদের বক্তব্য শেষ হওয়ার পরে একটি র্যালী বের হলে এ সময় সাংবাদিক শামীম আহমেদ ঐ প্রোগ্রামের চিত্র ধারন এবং লাইভ করতে থাকেন।
এক পর্যায় নেতাকর্মীরা সড়কে বেরিয়ে পরলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলতাফ হোসেন চৌধুরীর বাসার সামনের সড়কে দাড়িয়ে ফুটেজ সংগ্রহ করেন সাংবাদিক শামীম আহমেদ। এ সময় হঠাৎ করে মামলার প্রধান আসামী দুলাল মাতুব্বর সহ অজ্ঞাতরা এসে শামীমের উপর ঝাপিয়ে পরে তাকে রাস্তায় ফেলে বেদম মারধর করেন এবং তার সাথে থাকে শাওমি ফোন যেটা দিয়ে লাইভ করা হয়েছে সেটি, ট্রাইপড লাইভের ডিভাইস এবং ব্যাংকে জমা দেয়ার জন্য ৩০ হাজার টাকা একটি ক্যামেরার ভাঙ্গা অংশ এবং তার ব্যবহারিত ব্যাগটি নিয়ে যায়।
এ সময় সাংবাদিককে রাস্তায় ফেলে ব্যাপক মারধর করে শরীরের জামাকাপড় ছিরে ফেলে, ফলে সে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় কোনভাবে জান বাচিয়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঘটনার সুত্রপাত, এই দুলাল মাতুব্বর আমেরিকা প্রবাসী, তিন বছর পূর্বে তার সৎ ভাইয়ের বাড়ী গাছপালা ও জমি দখল করার চেষ্টা করলে তারা আদালতে মামলা করেন। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সাংবাদিক শামীম আহমেদ নিউজ করেন।
কেন নিউজ করলো, এতে তার সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে বলে তিনি সহ তার দলবল সাংবাদিক শামীমকে বেধরক মারধর করে। এ বিষয় ৭ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবে এক জরুরী মিটিং শেষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার সিদ্ধান্ত হয় এবং সে অনুযায়ী পটুয়াখালী সদর থানায় দুলাল মাতুব্বরকে প্রধান ও অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে যার মামলা নাম্বার-১২ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩৭৯/৫০৬ the penal code,1860। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই কমল বড়ালের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি মামলার তদন্তভার পেয়েছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আসামী গ্রেফতার এবং সাংবাদিককের মালামাল উদ্ধারে আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
আসামীদের আইনের আওতায় এনে সর্বচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করবো। সেই সাথে আসামীর অবস্থান সম্পর্কে তথ্য থাকলে তথ্য দিয়ে সহয়তা করার আহবান জানান পুলিশ। এ বিষয়ে বিএনপির উর্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে দুলাল মাতুব্বর তাদের দলের কেউ নয় বলে জানান।