অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, শুধু একটা নির্বাচন কিংবা ভোটের জন্য এতগুলো মানুষ জীবন দেয়নি। শহীদ পরিবার এবং আহতরা সংস্কারের কথা বলছেন। তাই আমরা মনে করছি সংস্কার জরুরি। ২৫ ডিসেম্বর
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পরিষদে দুস্থদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা পর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের এক দফা ছিল ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনার পতন ও ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ। ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বিলোপ বলতে আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- প্রতিষ্ঠানগুলোকে ফ্যাসিজামের মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সব প্রতিষ্ঠানকে প্রায় ধ্বংসের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করা হয়েছে। সেই জায়গা থেকে এক দফার বাস্তবায়ন বলতে আমরা মনে করি সংস্কার কার্যক্রম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, এই সরকারের একটা ক্লিয়ার মেইনটেনেন্স হচ্ছে- আমরা সংস্কার কাজগুলো করব। সংস্কারের জন্য যে কমিশন করা হয়েছিল সেগুলোর প্রায় ৩ মাস হয়ে যাচ্ছে। তারা এখন তাদের প্রস্তাবনা দেবেন। তারপরে যারা স্টেক হোল্ডার আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার করে নির্বাচনের দিকে যাব। এই উপদেষ্টা বলেন, উত্তরাঞ্চলের মানুষ আশানুরূপ উন্নয়ন পায়নি।
বিগত সরকারের সময় শুধু নির্দিষ্ট এলাকাকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমি নিশ্চিত করতে চাই, এলাকাভিত্তিক বৈষম্য দূর করে উত্তরাঞ্চলে উন্নয়নে গুরুত্বারোপ ও বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হবে। তিনি বলেন, পল্লী বিদ্যুতের নিম্নমানের মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে।
যারা এর সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আওয়ামী লীগের আমলে অনেক পৌরসভা হয়েছে যেগুলো নিয়ম অনুযায়ী করা হয়নি, সেগুলোর বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেইসঙ্গে কয়েকটি নতুন পৌরসভা করার কাজ চলছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিজা বেগম, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার দেবনাথ, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মামুন বিশ্বাস, বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল সহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
এর আগে তিনি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ পরিদর্শন করে পিছিয়ে পড়া ঠাকুরগাঁও জেলার বরাদ্দ বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।