নীলফামারী প্রতিনিধি
নীলফামারীতে ‘ব্রি ধান-৭৫’ জাতের আগাম আমন ধানের নমুনা শস্য কর্তন করা হয়েছে। এ জাতের ধানে বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় ১৬.৫ মণ (৫.০ টন/হেক্টর)।
১৭ এর মাঠ দিবস গত বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে নীলফামারীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনুষ্ঠানটি সদর উপজেলার চড়াইখোলা ইউনিয়নের আরাজি চড়াইখোলা গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসে বিনা উপকেন্দ্র রংপুরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী বক্তব্য রাখেন। অন্যান্যদের মধ্যে কৃষক পিয়ারুল ইসলাম বক্তব্য দেন কৃষক মাঠ দিবসে।
কৃষক পিয়ারুল ইসলাম জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে এই জাতের ধান আবাদ করেন। এটি আগাম জাতের আমন ধান। এই ধান কর্তন করে আগাম আলু কিংবা সরিষা চাষ করা যাবে। বছরে তিনটি ফসল ফলানো সম্ভব একই জমিতে। রোপা আমনের অন্যান্য জাতের ধান কর্তন করতে এখোনো এক মাস সময় বাকি অথচ বিনা ধান-১৭ কর্তন করা শেষ।
সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোহাম্মদ আলী জানান, পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ বিনা ধান-১৭ বিশেষ একটি জাতের ধান। খরচ কম, ফলন বেশি এবং সময়ও কম লাগছে কৃষকদের এই জাতের ধান আবাদ করতে উদ্বুদ্ধ করছি আমরা কৃষি বিভাগের সহায়তায়।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ জানান, এই জাতের ধান আবাদে কৃষকদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ভাবে। সার্বক্ষনিক ভাবে পরামর্শ এবং সহায়তা করা হয়েছে। আরাজি চড়াইখোলা এলাকায় ৫জন কৃষক ১৫০শতাংশ জমিতে এই জাতের ধান আবাদ করেছে।
কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. এস এম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, এই জাতের ধান উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্পজীবনকালীন। পরমানু কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট রংপুর উপকেন্দ্রের উদ্যোগে এবং কৃষি বিভাগ নীলফামারীর সহযোগীতায় মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী প্লট করা হচ্ছে। এর আগে পাঁচ কৃষকের এই জাতের রোপন করা ধান কর্তন করা হয়।