ডেস্ক রিপোর্ট
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ধারাবাহিক গণতন্ত্র না থাকলে কোনো দেশ উন্নত করতে পারে না। দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবে না। সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) ঢাকা সেনানিবাসে খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা এবং ২০২২-২৩ সালে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বোচ্চ শান্তিকালীন পদক দেওয়ার অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা জনগণকে হত্যা করে লাশের ওপর পা রেখে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা করে তারা কতটা অমানবিক- তা চিন্তাই করা যায় না। ধারাবাহিক গণতন্ত্র না থাকলে কোনো দেশ উন্নতি করতে পারে না।
তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন শুধু রাজধানী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ নয়। প্রত্যেক গ্রামে উন্নয়ন করেছে সরকার। সমাজের কোনো শ্রেণির মানুষ নিচে পড়ে থাকবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের মানুষের জন্য উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে চাই। দেশের এই অপ্রতিরোধ্য অগ্রগতি বা এগিয়ে চলা কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
আরও পড়ুন:বেলজিয়াম সফরের বিষয়ে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন
তিনি বলেন, মানুষ পুড়িয়ে মারা কেমন আন্দোলন, আমার বোধগম্য নয়। মানুষ যখন স্বস্তিতে ছিল তখন সহিংসতা, হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি মানুষের জীবনকে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। আশা করি যারা এসব করছে, তারা গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরবে।
সেনা সদস্যদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, কারও সঙ্গে যুদ্ধ করতে চাই না। কিন্তু সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কোনো আঘাত এলে যাতে প্রতিহত করা যায়, সেই প্রস্তুতি রাখতে হবে।
তিনি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীকে আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করছে সরকার। সেলক্ষ্যে আর্ম ফোর্সেস গোল ২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আরও অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এর আগে, প্রধানমন্ত্রী সকালে সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০২৩ উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শিখা অনির্বাণে পৌঁছলে সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল এম. নাজমুল হাসান, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আবদুল হান্নান এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাকে স্বাগত জানান।
পুষ্পস্তবক অর্পণের পর প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী বিভাগে যান। সেখানে তার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক এবং তিন বাহিনীর প্রধানগণ তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।