ডেস্ক রিপোর্ট
ঋতু পরিক্রমায় পৌষ ও মাঘ মাস (ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি) শীতকাল হলেও সাধারণত মাস খানেক আগে থেকেই দেশের উত্তরাঞ্চলে শীতের প্রকোপ শুরু হয়। কিন্তু সেই হিসাবে এখনো তেমন দেখা যাচ্ছে না শীতের দাপট।
কিন্তু তারপরও যেন শীত এখনো পুরোপুরি ধরা দিচ্ছে না। রাতে ঘুমালে তাই কাঁথা-কম্বল টেনে শরীরটাকে ঢেকে দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না, আবার হাত-পায়ের চামড়ায় তেমন টান ধরছে না। রাজধানী ঢাকায় এখনো ফ্যানের বাতাসের গুরুত্ব কমে যায়নি। অনেকেরই প্রশ্ন, শীত আসবে কবে?
এ প্রশ্নের উত্তর হয়তো এখন কিছুটা পাওয়া যাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তরের বার্তা থেকে। আগামী ২২ নভেম্বর থেকে সারাদেশের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে কমতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। এ সময় শেষ রাতের দিকে উত্তরাঞ্চলে এবং গ্রাম অঞ্চলগুলোতে হালকা শীত অনুভূত হতে পারে।
এ ছাড়াও আবহাওয়াবিদদের মতে, এবার শীত কম পড়তে পারে। প্রকৃতিতে তার ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে। শীতকাল শুরু হতে আরও দেরি হতে পারে। ডিসেম্বরের শুরু থেকে শীত ঋতুর শুরু। গত সপ্তাহে দেশের আবহাওয়াবিদেরা প্রথমবারের মতো শীত ঋতুর দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাস চূড়ান্ত করেছেন। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ও যুক্তরাজ্যভিত্তিক আবহাওয়া গবেষণা সংস্থা রাইমস যৌথভাবে ওই পূর্বাভাস তৈরি করেছে। ১২ নভেম্বর রাজধানীর একটি হোটেলে ওই পূর্বাভাসের ফলাফল নিয়ে দেশের শীর্ষ আবহাওয়াবিদ ও গবেষকেরা আলোচনা করেন। তাতে এবারের শীতকাল সস্পর্কে এমন পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
ওই পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ বছরের শীতকালে তাপমাত্রা বেশি থাকতে পারে। এরই মধ্যে অতিরিক্ত উষ্ণতার প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে। এ সময়ে সাগরের তাপমাত্রা থাকে ২৭ থেকে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে তাপমাত্রা থাকছে ২৮ থেকে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে সাগরে প্রচুর জলীয় বাষ্প ও চাপ তৈরি হচ্ছে। গত সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ সৃষ্টি হওয়ার পেছনে ওই অতিরিক্ত তাপমাত্রাকেও দায়ী করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে আরেকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়েও রূপ নিতে পারে। এতে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বাড়তে পারে বৃষ্টি। দেশের বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বাড়তে পারে। এতে চলতি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা থাকতে পারে। অর্থাৎ এই সময়ে যতটা ঠান্ডা পড়ার কথা ছিল, তার চেয়ে কম পড়তে পারে।