নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে এর নেতৃবৃন্দ বলেন আগামী ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে পত্রিকার মালিকরা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে, অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির ঘোষণা করা হবে, ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নে আল্টিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজ।
ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ অনুযায়ী বেতন-ভাতা, নিয়মিত ইনক্রিমেন্ট, মহার্ঘভাতা ও চাকরি শেষে ন্যায্য পাওনা থেকে সাংবাদিকদের বঞ্চিত করা, নিয়োগপত্র না দেয়া ও পরিকল্পিতভাবে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সিইউজের উদ্যোগে ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে যুগ্ম সম্পাদক সাইদুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, সিইউজের সাধারণ সম্পাদক. শামসুল ইসলাম, সিইউজের সাবেক সভাপতি মোস্তাক আহমদ ও নাজিমুদ্দীন শ্যামল। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন,সিইউজের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুবেল খান, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ, সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক সবুর শুভ, সিইউজের অর্থ সম্পাদক মো. মুজাহিদুল ইসলাম, সিইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ মহরম হোসাইন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সরওয়ার কামাল, সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহমেদ কুতুব, কার্যনির্বাহী সদস্য আলাউদ্দিন হোসেন দুলাল, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ ইউনিট চীফ ইব্রাহিম, প্রতিনিধি ইউনিট চিফ সরওয়ারুল আলম সোহেল, টিভি ইউনিট চিফ মো. তৌহিদুল আলম ও ডেপুটি ইউনিট চিফ দীপঙ্কর দাশ।
এসময় সিইউজের সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম বলেন, আমরা ছয় দফা দাবি নিয়ে রাজপথে নেমেছি। চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন দীর্ঘদিন ধরে দাবিগুলো নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। চট্টগ্রামের যেসব পত্রিকা রয়েছে তাদের সঙ্গে ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সঙ্গে ৮ম ওয়েজ বোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়নে চুক্তি হয়েছিল কিন্তু তার অধিকাংশই শর্ত তারা লঙ্ঘন করেছিল। আমাদের অনেক সহকর্মীকে তখন ৮ম ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনেনি। তারা বলেছিল পর্যায়ক্রমে সকলকে ওয়েজবোর্ডের আওতায় নিয়ে আসা হবে, কিন্ত বর্তমানে ২০২৩ সালেও তাদের সেই পর্যায়ক্রম আজও শেষ হয়নি।
প্রতিনিয়ত সাংবাদিকদের তাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে আসছে। বার্ষিক ইনক্রিমেন্টও বন্ধ রেখেছে তারা। সিইউজের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে ছয় দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ও পরিকল্পিতভাবে ট্রেড ইউনিয়ন কার্যক্রমে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির প্রতিবাদে আমরা আন্দোলনে নেমেছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন থেকে আমরা পিছপা হবো না। আগামি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি চট্টগ্রামের সংবাদপত্র মালিকরা আমাদের দাবি মেনে না নেন তাহলে আমরা বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষনা করবো, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আপনি চাইলে সাংবাদিকদের ন্যায্য অধিকার ও পত্রিকার ডিক্লারেশন আপনি বাতিল করতে পারেন।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সিইউজের সাবেক সভাপতি এম. নাসিরুল হক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসিফ সিরাজ ও নির্মল চন্দ্র দাশ, সিইউজের সহ-সভাপতি অনিন্দ্য টিটো, দৈনিক পূর্বকোণ ইউনিট চিফ মিহরাজ রায়হান, দৈনিক পূর্বদেশ ইউনিট চিফ জীবক বড়ুয়া, দৈনিক পূর্বকোণ ইউনিটের ডেপুটি চিফ নাজিম উদ্দিন, প্রতিনিধি ইউনিটের ডেপুটি চিফ ওমর ফারুক। সমাবেশে অংশ নেন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি মনজুর কাদের মনজু, অর্থ সম্পাদক রাশেদ মাহমুদ, আপ্যায়ন ও সমাজসেবা সম্পাদক আল রাহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খোরশেদুল আলম শামীম, নির্বাহী সদস্য আইয়ুব আলী সহ আরও অনেকেই।