ডেস্ক রিপোর্ট
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির সাবেক নেতারা আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, এরা স্বপ্রণোদিত হয়ে আসছেন। তারা ইলেকশন করবেন, করতে চান।
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে আসছেন। তারা সবসময় আমাদের নেতাদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন। তারা ইলেকশন করতে চান। আমাদের কথা একটাই নির্বাচন ডিক্লেয়ার হয়ে গেছে। তাই তারা যেভাবে দল ভেঙে নতুন দল করেছেন, সেভাবেও আসতে পারেন। আমাদের পক্ষ থেকে তাদের স্বাগত।
তিনি বলেন, বিএনপির প্রমিনেন্ট নেতারাই ভাগ হচ্ছেন। এখানে কাউকে জোর করতে হয়নি। তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত দিচ্ছে যা তাদের মনঃপুত হচ্ছে না। তারা নির্বাচনমুখী। সেজন্যই তারা নির্বাচনে চলে আসছেন। তারা তাদের সেন্ট্রাল কমিটির নির্দেশের বাইরে চলে আসছেন। আমাদের দল থেকে তাদের জোর করার কিংবা আহ্বান জানানোর কোনো প্রশ্নই আসে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা তো একটা দল। তাই আমরা তো অন্যদলগুলোকে নির্বাচনে আসার আহ্বান করতে পারি না। যারা আগ্রহী তারা নিজেরা নির্বাচন কমিশনে যাবেন, তাদের যদি কিছু বলার থাকে বলবেন। নির্বাচন কমিশন তো আহ্বান জানিয়েই দিয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণা করে দিয়েছেন।
আসাদুজ্জামান খান বলেন, বিএনপির সিদ্ধান্তটাই তাদের নেতাকর্মীরা মেনে নিতে পারেনি। যার প্রমাণ আমি দেখালাম। তারা আরও দুটি দলে ভাগ হয়ে গেছে। বিএনপি নেতারাই ভাগ করেছেন। একটায় গেছেন তৈমূর আলম খন্দকার আর একটায় শমসের মবিন চৌধুরী।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আমাদের সরকারের কোনো প্রভাব সেখানে নেই। কেইস টু কেইস দেখে তারা (বিচারক) জামিন দিচ্ছেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এখানে কোনোকিছুতে প্রভাবিত হয়ে বিচারকরা সিদ্ধান্ত দেন না।