মিজানুর রহমান ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি –
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড মধ্যজগদিয়া গ্রামের মরহুম কাদের মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র হাফিজুর মিয়া (৪৫) একটি পা,হারিয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
নিজ পরিবারে দুই কন্যা সন্তান ও এক স্ত্রী নিয়ে সরকারি একটি টিনের ঘরে মানবেতর বসবাস করছেন। প্রতিবন্ধী হয়েই জন্ম হাফিজুর মিয়ার।পিতার মৃত্যুর পর ঘাত প্রতিঘাত সজহ্য করে ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার জীবন যুদ্ধ চলে। এভাবে কেটে যায় তার জীবনের পয়তাল্লিশ বছর। বাঁকা পা,নিয়ে এক পা’য়ে বাশেঁর লাঠিতে ভর করে খুড়িয়ে খুড়িয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলছিল তার সংসার।
চলাফেরায় বাঁকা পা’য়ে ক্ষতর সৃষ্টি হয়। প্রায় ১ মাস আগে পরিবার থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেই ক্ষত পা’ ডাক্তার কেটে শরীল থেকে বিচ্ছিন্ন করে।টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা করাতে না পারায় আজ মৃত্যু শজ্যায় বিছানায় ছটফট করছে। পরিবারের উপার্জন করার মতো হাফিজুর মিয়া নিজেই ছিলেন। আজ তিনি অক্ষম।ভাতের অভাবে একদিকে দিনাতিপাত করছে তার পরিবার ও অন্যদিকে টাকার অভাবে ঔষধপত্র কিনতে পারছেনা।চিকিৎসার অভাবে ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়েছে।
তার বুকের ছাতির হাড়গুলো সব দেখে গুনা যাওার উপক্রম। পা’ কাটার কিছুদিন আগে তার চরাফেরা অসহায়ত্বের কথা শুনে লন্ডন প্রবাসী নগরকান্দার কৃতি সন্তান মানব দরদী মাসুদুর রহমান একটি হুইলচেয়ার ও কিছু নগদ অর্থ প্রদান করেন। তবুও ভাগ্যের পরিহাস পা’ কেটে ফেলার পর চলাচল করতে না পারায় বিছানাই তার জীবন সঙ্গী। দেশ ও বিদেশের সদয় হ্রদয়বান মানুষের কাছে সাহায্যের আবেন জানিয়েছেন তার পরিবার।
তার বিকাশ ০১৮৫২৩৫৮২৬৭ নাম্বারে টাকা পাঠিয়ে চিকিৎসার সহযোগীতার হাত বাড়ানোর আহবান করেছেন। বিছানায় শয্যাশায়ী হাফিজুর মিয়া প্রতিনিধিকে জানিয়েছেন যে আপনাদের লেখায় যদি দেশ – বিদেশে থেকে কোন বিত্তবান মানুষ আমাকে দয়া করে সাহায্য করে তাহলে আমার জীবন বাজবে এবং আমি বাজতেপারলে ভিক্ষা করেও আমার পরিবার বাচাতে পারবো।