মো: আরিফুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির গুইমারাতে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে আনা ১৫ লক্ষ্য টাকা মূল্যের ভারতীয় ঔষুধ জব্দ ; চোরাচালান কাজে ব্যবহৃত মাইক্রোবাস সহ ০২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর, পিপিএম (বার) খাগড়াছড়িতে অভ্যন্তরীণ আইন শৃংঙ্খলা পরিস্থিতি অক্ষুন্ন রাখতে মাদক, চোরাচালানের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষনা করেছেন। এই নীতি বাস্তবায়নে জেলা পুলিশের প্রতিটি ইউনিট সর্বোচ্চ কাজ করে যাচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২’রা ডিসেম্বর) মধ্যরাতে গুইমারার হাফছড়িতে জালিয়াপাড়া টু মানিকছড়ি সড়কের সিকদার মোড় নামক স্থানে গুইমারা থানা পুলিশের একটি চৌকস দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন গাড়ী তল্লাশী কালে একটি সিলভার রং এর মাইক্রোবাসে (যাহার রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার চট্টমেট্রো-গ ১১-৮৪৩৮) ভারতীয় কোম্পানির ২০(বিশ) প্রকার ৩৩,৩৪৩ পিস ঔষুধ সহ দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা হলেন, ফটিকছড়ির উত্তর রাঙ্গামাটিয়া পৌরসভার ০১ নং ওয়ার্ডের মোহাম্মদ সেলিম এর ছেলে মোহাম্মদ জাবেদ (২৪) ও একই পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের মৃত কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে কাজী মোঃ ইব্রাহিম রিদোয়ান (২২)। গুইমারা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি রাজীব চন্দ্র কর জানান , উদ্ধারকৃত ২০ প্রকারের ৩৩,৩৪৩ পিস ভারতীয় ঔষুধের সর্বমোট অনুমান মূল্য বাংলাদেশী টাকায় ১৫ লক্ষ টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামীদের পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, জব্দকৃত ঔষুধগুলো তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাচ্ছিল। তাদের নিকট জব্দকৃত ঔষুধগুলোর বিষয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তারা কোন কাগজপত্র ও কোনো সদ উত্তর প্রদান করতে পারেনি।
গ্রেফতারকৃতরা আরো জানায় যে, তাদের একটি সংঘবদ্ধ চোরাচালান চক্র বিভিন্ন সময় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে ভারতীয় সীমান্ত পথে অবৈধ ভাবে ভারতীয় ঔষুধ সামগ্রী সহ বিভিন্ন পণ্য অবৈধভাবে বাংলাদেশে নিয়ে এসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চড়া মূল্যে বিক্রি করে থাকে বলে স্বীকারক্তি প্রদান করে। এ বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক গুইমারা থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
আসামীদেরকে যথাসময়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে, আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, চোরাচালানরোধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে। চোরাকারবারি এবং তাদের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর অবস্থানে আছি। ভবিষ্যতেও এধারা অব্যাহত থাকবে।