বিশেষ সংবাদাতা
তারুণ্যের অজেয় শক্তি তারুণ্যের মেধা, যোগ্যতা, দুর্ভেদ্য শক্তিমত্তা ও অভিনবত্ব সর্বাংশে অজেয়, অসামান্য। একটি সমাজ, সভ্যতা ও জাতিসত্তার বিকাশে তারুণ্যের ভূমিকা অপরিসীম। আমাদের সমাজে ও দেশের রয়েছে অসংখ্য স্নপ্নবাজ তরুণ যারা কাজ করাছে সমাজের সমস্যা দূরীকরণে ও সমাজের মানুষের জন্য। ঠিক তেমনি একজন তরুণ মেহেদী হাসান মুরাদ।
ছোটবেলা থেকেই অন্য সকল শিশুদের চেয়ে অধিক চিন্তাশীল ও মেধাবী ছিল। আন্তস্কুল, আন্তকলেজ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় সেরা বিতার্কিক ছিলেন। বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে বক্তৃতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা সহ বিভিন্ন শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন সম্মাননা ক্রেস্ট ও ২ ডজন সার্টিফিকেট অর্জন করেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে বাল্যবিবাহ নিয়ে মহিলা শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকির সাথে প্রথম আলোতে গোলটেবিল বৈঠক করে অনেক সুনাম কুড়িয়েছিলেন তিনি।
তিনি বর্তমানে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ বর্ষে অধ্যয়নরত। শেখ রাসেল হল ডিবেটিং সোসাইটির সাবেক সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ইউনিভার্সিটিতে নানা রকমের কর্মসূচীতে লিড করে থাকেন। ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের রংপুর বিভাগীয় শিশু ফোরামের দায়িত্ব পালন করেছেন (২০১৪-২০১৬)। এছাড়া “আমার মা” ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় যুব সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন:পাইকগাছায় কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত
এনসিটিএফ রংপুরের দায়িত্ব পালন করেছেন (২০১৬-১৮)। এই কাজগুলো করার সময়ে শিশুদের মানষিক বিকাশে, স্বাস্থ্য সচেতনতা ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। সমাজের মানুষের অসুবিধা দূর করতে ঝাপিয়ে পড়েছে সবসময়। তিনি ছোটবেলা থেকেই সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন শিশু সাংবাদিক হিসেবেও কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দৈনিক সময়ের কাগজ পত্রিকায় কাজ করছেন। এছাড়াও মুরাদ খান এমকেনিউজ একাত্তরের প্রতিষ্ঠাতা। সাংবাদিকতায় তিনি আপোষহীন। অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে তিনি পরিচিত।
অন্যায়, অনিয়ম, দুর্নীতি, অসংগতি তার প্রতিবেদনের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এ জন্য বিভিন্ন মহল তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, হুমকি দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন তবুও তিনি এগিয়ে চলেছেন সত্য প্রকাশে। ইয়ুথ এ্যাকশন নেটওয়ার্ক রংপুরের সাথেও কাজ করেছেন তিনি। কারোনাকালে তিনি সমাজের মানুষের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় ভোক্তা অধিদপ্তরে ও সিসিএস কর্তৃক দেশসেরা “করোনাযোদ্ধা এ্যাওয়ার্ড” পেয়েছেন। এলাকাবাসী ও তাকে কৃতিসন্তান সংবর্ধনা দিয়েছেন।
বর্তমানেও তিনি সিসিএস স্বেচ্ছাসেবী রংপুরের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনী সহায়তা প্রদানকারী সংস্থার রংপুর বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মানবাধিকার সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার বিভাগীয় সম্পাদক। মিঠাপুকুর রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য। এছাড়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় যুব সংগঠন ওয়ার্ল্ড চাইল্ড এন্ড ইয়ুথ ফোরামের প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। এই সংস্থায় মাধ্যমে তিনি শিশু সমস্যা নিয়ে আন্তর্জাতিক টকশো করে থাকেন।
গতবছর ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্তৃক আয়োজিত জাতীয় শিশু ও যুব সম্মেলন ২০২৩ এ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিশু ও যুবকদের জন্য দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য দেন। যার মাধ্যমে শিশু ও যুবাদের দক্ষ বৃদ্ধিতে ও মেধা বিকাশে ব্যাপক সাড়া ফেলে। এই ছোট জীবনে নানা সময়ে নানা রকমের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছেন তিনি। শিশু ফোরামে থাকাকালীন সময়ে ১২ টি বাল্যবিবাহ বন্ধে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। অসহায় শীতার্ত মানুষদের জন্য প্রতিবছর শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকেন।
যেটি নিয়ে নিউজিল্যান্ডে প্রেস কনফারেন্স হয়েছে ও তার কাজের প্রশংসা করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ৩ হাজার মানুষকে সুরক্ষা সামগ্রী বিতরন করেছেন। শিশু ও অসহায় পরিবারদের জন্য ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করেন। ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযানে সহযোগিতা করেন। যেকোন মানুষ বিপদে পড়লে সবার আগে গিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন মুরাদ! শিশুদের মেধাবী শিক্ষার্থী হিসাবে তৈরি করতে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন তিনি।
নানামুখী কাজের মাধ্যমে এলাকাবাসীর কাছে সবচেয়ে প্রিয় একজন মানুষ হয়ে উঠেছে মুরাদ। জাতীয় ভাবে নিজের কাজের মাধ্যমে কুড়িয়েছে প্রশংসা ও সম্মাননা। করোনাকালীন সময়ে সমাজের মানুষের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় এশিয়ান টিভি এ্যাওয়ার্ড ২০২১ পেয়েছিলেন তিনি। মুরাদের মত যুবক আমাদের দেশের তরুণদের জন্য অনুপ্রেরণা। এমন আইকনিক একজন ইয়ুথ লিডারের সংস্পর্শে এসে হাজারো তরুণ স্বপ্ন দেখে আগামীর সোনার বাংলাদেশ গড়ার!