আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের নেতার বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়েছে। এমনটি জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। খবর ডয়চে ভেলের।
নেতানিয়াহু একটি ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন, গতকালই আমি বলেছিলাম, গাজা ভূখণ্ডের যে কোনো জায়গায় আমাদের সেনা পৌঁছাতে পারবে। আজ আমাদের সেনা সিনোয়ারের বাড়ি ঘিরে ফেলেছে। হতেই পারে তিনি ওখানে নেই। তিনি পালিয়েও যেতে পারেন। তবে আজ না হয় কাল, তাকে ধরা হবেই।
সিনোয়ারের বাড়ি দক্ষিণ গাজায় খান ইউনিস শহরে বলে জানা গেছে। বুধবার সেখানে ইসরায়েলের সেনা খুবই তৎপর ছিল। ইসরায়েলের ধারণা, হামাসের নেতারা এখন দক্ষিণ গাজায় আছেন। কারণ, প্রথমদিকে লড়াইটা উত্তর গাজায় সীমাবদ্ধ ছিল। তারা তখন দক্ষিণ গাজায় চলে এসেছেন।
সিনোয়ার দুই দশকের বেশি সময় ইসরায়েলের জেলে ছিলেন। দুই ইসরায়েলি সেনা ও তাদের চারজন ফিলিস্তিনি সঙ্গীকে খুন করার দায়ে তার শাস্তি হয়েছিল।
২০১১ সালে ইসরায়েলের সেনা জিলাদ শালিটের মুক্তির বিনিময়ে এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরায়েল। তার মধ্যে সিনোয়ারও ছিল। ২০১৭ সালে সিনোয়ার গাজায় হামাসের প্রধান হন।
আরও পড়ুন:জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস
জাতিসংঘের প্রধান আন্তেনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, গাজার কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়। জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গুতেরেস বলেছেন, গাজায় পুরো মানবিক ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ হচ্ছে। ফিলিস্তিন তো বটেই, গোটা অঞ্চলের শান্তি ও সুরক্ষার উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
গুতেরেস জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতি যে কোনো মূল্যে এড়াতে হবে। ২০১৭ থেকে গুতেরেস জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেলের পদে আছেন। এই প্রথম তিনি জাতিসংঘের চার্টারের আর্টিকেল ৯৯ ধারা প্রয়োগ করলেন। তিনি নিরাপত্তা পরিষদের সামনে গাজার বিষয়টি নিয়ে এলেন।
গুতেরেস বলেছেন, বর্তমানে গাজায় যে পরিস্থিতি রয়েছে, তাতে মানবিক ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। যুদ্ধবিরতি হলে পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
গ্রুপ অফ সেভেন বা জি৭ নেতারা বুধবার একটি ভিডিও বৈঠক করেছেন। তাদের মত হলো, গাজায় সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো মানবিক ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। এর জন্য সংঘর্ষবিরতি প্রয়োজন।
তারা ইরানের কাছেও আবেদন জানিয়ে বলেছে, তারা যেন হিজবুল্লাহ বা হুতি বিদ্রোহীদের সমর্থন না করে।