মিজানুর রহমানঃ
লালমনিরহাট সদর উপজেলা কুলাঘাট ইউনিয়নের চর শিবেরকুটি মৌজার, রেকর্ড ভুক্ত ফসলি জমি খাস ক্ষতিয়ান দেখিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার প্রতিবাদে, কাফনের কাপড় পড়ে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত।
সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুর ১২টা সদর উপজেলা কুলাঘাট ইউনিয়নের ওয়াপদা বাজার এলাকার ফুলবাড়ি লালমনিরহাট মহাসড়কে,ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলনের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়। শত শত নারী পুরুষ স্কুলের শিক্ষার্থীরা মাথায় কাফনের কাপড় বেঁধে মানব বন্ধনে অংশগ্রহন করে।
চর শিবের কুটির গ্রামের কৃষক কাইয়ুম মুন্সি তার বক্তব্যে বলেন,বার বার ধরলা নদীর ভাঙ্গনে আমরা সর্ব শান্ত হয়ে পানি উন্নয়ন বাঁধে বসত করছি,আমাদের রেকর্ড কৃত জমি নদীর বুকে জেগে উঠায়,সেই জমিতে আমরা মাথার ঘাম ফেলে ফসল চাষাবাদ করেছি,সেই জমির ফাঁকে রেকর্ড এরিয়ে যাওয়া দুই একটা দাগ ১নং খাস খতিয়ান দেখিয়ে নিলাম দেওয়া হয়।
পৌর মেয়র ও তার লোক জন এই বালুর ক্রেতা,দাগ অনু পাতে বালু উত্তোলন না করে ফসলি জমি থেকে বালু উত্তোলন করায়, ফসলি জমি চাষা বাদের অনুপোযোগী হয়ে যাচ্ছে, নতুনজেগে উঠা চর থেকে বালু উত্তোলন করায় বর্ষায় নদীর গতিপথ পরিবর্তন হয়ে ফসলি জমি গুলো নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে, এতে আমরা নিঃস্বহ হয়ে যাবো,আমাদের এক ফোঁটা রক্ত গায়ে থাকতে এই অন্যায় মেনে নিব না।
চর শিবেরকুটি গ্রামের কৃষক আতিকুল ইসলাম তার বক্তৃতায় বলেন, লালমনিরহাট পৌরসভার মেয়রের নেতৃত্বে একমাস ধরে, চর শিবের কুটি এলাকার ওয়াপদা সংলগ্ন ধরলা নদীর জেগে উঠা চর থেকে, প্রতিদিন ৮০/১০০ টা ট্রাক দিয়ে বালুর উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে,এই বালু উত্তোলনের কারনে আমাদের ফসলি জমি আজ হুমকির মধ্যে পড়েছে,পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন ১০০টি ট্রাক চলাচল করায় বাঁধটি হুমকীর মুখে পড়েছে, বর্ষাকালে বাঁধ ভেঙ্গে ২০১৭ সালের মত বন্যায় ডুবতে পারে পৌর এলাকা সহ নদী পাড়ের মানুষ। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে,বালু উত্তোলন করার ফলে আবাদি জমি হুমকির মধ্যে রয়েছে। অব্যাহত নদী ভাঙনে ঘরবাড়িসহ কৃষি জমি নদীগর্ভে চলে যাবে। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে এলাকার অসংখ্য বাড়িঘর।
মোতালেব হোসেন জানান নদী রক্ষা বাঁধের উপর দিয়ে প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকে করে বালু নিয়ে যাওয়ায় বাঁধটি চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে,এলাকায় ধুলা বালিতে অন্ধকার হয়ে আসে, ছোট ছোট বাচ্চারা এই বাঁধের রাস্তায় স্কুলে যাতায়াত করতো,শতাধিক ট্রাক চলাচল করায় এখন স্কুলে যেতে তারা ভয় পাচ্ছে,বয়স্করা মসজিদে যেতে পারছে না।আমরা সমস্যার কথা তুলে ধরে জেলা প্রশাসক মহোদয়,এসি ল্যান্ড,স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবগত করে সুরাহা পাইনি।এই বালু সিন্ডিকেট অর্থের বিনিময়ে সবার মুখ বন্ধ করে রেখেছে।
তাই বাধ্য হয়েছি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে রাস্তায় নামতে,অবিলম্বে বালু উত্তোলন বন্ধ না হলে আমরা বৃহত্তর কর্মসুচী দিতে বাধ্য হবো। এ বিষয়ে মেয়র রেজাউল করিম স্বপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এই বালু যারা উত্তোলন করছে তারা নিলামের মাধ্যমে ক্রয় করেছে এত টুকু জানি।পৌর এলাকার সবাই আমার ভোটার সবাই আমার লোক।এর বেশী কিছু আমি জানি না।