মনিরুল ইসলাম মনি,ব্যুরো প্রধান খুলনা
দাকোপ উপজেলা সদরে সন্ত্রাসী হামলা বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা নাগরিক পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে নারকীয় এই তান্ডবলীলার নৈপথ্যে মদদ দাতাদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দাকোপ উপজেলা সদর চালনা ডাকবাংলার মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক এ্যাড. মহানন্দ সরকার।
সমাবেশে বক্তারা দাবী করেন গত ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চালনা পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বহু অঘটনের নায়ক হাসিব খান অর্ধশতাধীক ভাড়াকরা পেশাদার গুন্ডা চাঁদাবাজ লুটেরাদের সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসভবন সংলগ্ন মিজান হাওলাদারের বাড়ীতে ফিল্মি ষ্টাইলে সশস্ত্র হামলা চালায়।
হামলাকারীরা মিজানের বাড়ীঘর ভাংচুর স্বর্ণালংকরসহ বাড়ীর মালামাল লুট এবং নারী শিশুদের বেপরোয়া মারপিট ও যৌন নীপিড়ন করে। তারা বলেন ভাড়াটিয়া লুটেরাদের নেতা স্বপন মন্ডল প্রকাশ্যে হুংকার দিয়ে বলতে থাকে “আমি এমপির লোক, প্রশাসন আসবেনা তোমরা লুটপাট চালাও”।
সমাবেশে বক্তৃতা করেন উপজেলা আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসিত বরন সাহা, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ আবদুল কাদের, চালনা পৌরসভার মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, উপজেলা আ’লীগনেতা অধ্যাপক দুলাল রায়, পৌর কাউন্সিলর আঃ গফুর সানা, বাসুদেব রায়, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবলীগের আহ্বায়ক জি এম রেজা, যুবলীগনেতা আলামিন শেখ, রতন মন্ডল, গাজী সরোয়ার হোসেন, গোলাম রসুল শেখ, ব্যবসায়ী গৌতম সাহা, কামরুল ইসলাম, মিহির বিশ্বাস, স্মীতা বিশ্বাস, মরিয়ম খাতুনসহ শত শত নারী পুরুষ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
সমাবেশ শেষে তারা এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে দাকোপ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে খুলনা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করে।
উল্লেখ্য গত ২৯ এপ্রিল প্রকাশ্যে এই তান্ডবলীলার ঘটনায় ভুক্তভোগী মিজান হাওলাদার বাদী হয়ে হাসিব খান, দ্বীপ খান, ইউসুফ শেখ, বনি আমিন শেখ, ইন্দ্র বিশ্বাস, স্বপন মন্ডলসহ ২৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০/৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
যা দাকোপ থানার মামলা নং ১০ তাং ২৯/০৪/২০২৪। পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে ৩ জনকে গ্রেপ্তার এবং হামলার কাজে ব্যবহ্নত ২টি মোটর সাইকেল জব্দ করে।