স্টাফ রিপোর্টার :-
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নিজ খরচে জেলেদের শুকনা খাবার বিতরন করছেন। প্রকৃতিক দূর্যোগ ঘূর্ণিঝড় রেমালের তান্ডবে বানারীপাড়ার অধিকাংশ জনপদ পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। এতে ঘরবাড়ি ডুবে যায়। বেশির খতির সম্মুখিন হয়েছে নদীর পাড়ের মানুষ, যার সিংহ ভাগ জেলে।
এদের ঘরে পানিতে সব যখন ভিজে নষ্ট। রান্না খাওয়া কোন উপায় নেই ঠিক তখনই মানবিক মৎস্য কর্মকর্তা নিজ খরচে এই জেলেদের কাছে শুকনো খাবার নিয়ে হাজির। মূল্যটা সল্প হলেও জিনিস হলেও মন টা সল্প নয়। “মানুষ মানুষের জন্য” এই বার্তাই দিয়ে গেছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল।
কারণ এই দূর্যোগে একে অপরের সহোযোগিতায় অনেক জানমালের ক্ষতি এড়ানোও সম্ভব হয়েছে। কিন্তু ক্ষতির পরিমানও নেহাত কম নয়। নদী পাড়ের জেলেদের জাল নষ্ট, নৌকা ভেঙ্গে শেষ সম্বল হারিয়েছে অনেক জেলে। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার তথ্য মতে, বানারীপাড়ার সকল মৎস্য চাষী এখন নিঃস্ব। প্রায় ৫৫ টি মৎস্য খামারসহ ভেসে গেছে সব প্রায় ৩ কোটিরও অধিক টাকার মাছ।
তবে এর সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পেতে পাড়ে। তবে আশা করা যায় মৎস্য দপ্তর থেকে মৎস্য চাষীদের সহায়তা প্রদান করলে আবারও মৎস্য চাষী সুফল বয়ে আনতে পারবে বানারীপাড়ার মৎস্যচাষীরা। জেলেরা পাবে আবার নতুন করে মাছ ধরার স্বাদ।