মিঠাপুকুর প্রতিনিধি
মিঠাপুকুর উপজেলার ১২ নং মিলনপুর ইউনিয়নে তরফসাদী খায়রুল উলুম দাখিল মাদ্রাসায় সুপারের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, দূর্নীতি,নিয়োগবাণিজ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও জনগণের তীব্র আন্দোলন ও মানববন্ধনের আয়োজন করেন, সাধারণ ছাএ সমাজ ও এলাকাবাসীরা মানববন্ধনের এক পর্যায়ে মাদ্রাসা সুপারের পদত্যাগ দাবি করে, মিছিল বক্তব্য প্রদান করেন।
শিক্ষা হলো ভবিষ্যৎতের পার্সপোট, আগামীকাল তাদের জন্য, যারা আজ এর জন্য প্রস্তুত। শিক্ষার স্বাদ তেতো হলেও, এর ফল অত্যন্ত ভারি মিষ্ঠি। এই যদি যদি হয়, শিক্ষার লক্ষ্য, তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক প্রধানরা এতো এতো অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িত থাকে, আগামী প্রজন্ম কী শিখবে??
উপজেলার ১২ নং মিলনপুর ইউনিয়নের, তরফসাদি খায়রুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা অনিয়ম দূর্নীতিতে ভরে গেছে, মাদ্রাসার সুপার আক্কাস আলী বিরুদ্ধে।একের পর এক অনিয়ম দুর্নীতির কারণে প্রতিষ্ঠানটি মুখ থুবড়ে পড়েছে, এবং প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষা ব্যবস্থা নাজেহাল অবস্হা। একক আধিপত্য বিস্তার করে অর্থ আত্মসাৎ, নিয়োগ বাণিজ্য, সরকারি বরাদ্দ লুটপাট, প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো, জমি লিজ, পুকুর লিজ, প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রয় জমি লিজ থেকে আয়, প্রতিষ্ঠানে মাটি ভরাট, মাঠ সংস্কারের টাকা কোনটাই তার হাত থেকে রক্ষা পায় নাই। প্রাপ্ত আয় লুটপাট এবং গোপনে পকেট কমিটি গঠনের অভিযোগ উঠেছে এই মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে।
গতকাল রবিবার (২৫ শে আগস্ট) ছাএ সমাজ ও এলাকাবাসীর আয়োজনে, মাদ্রাসা সুপার আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে, মানব বন্ধনের আয়োজন করেন। মানব বন্ধনে মুল ও প্রতিপাদ্য বিষয় গুলোকে উল্লেখ করেন, এবং সবার সামনে উপস্থাপন করেন, মাদ্রাসার সুপার দীর্ঘ দিন থেকে, একক আধিপত্য বিস্তার করে, যে অনিয়মন, দূর্নীতি করে আসছিলো, তা সবার সামনে মানববন্ধন কারীরা উপস্থাপন করেন। এবং এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ জনতা ও ছাএ সমাজ, সহকারী শিক্ষক দেরকে সসম্মানে চলে যেতে বলেন এবং মাদ্রাসার কেচি গেটে তালা লাগান, এবং তারা বলেন, যতদিন না মাদ্রাসার সুপার আমাদের কে সকল হিসাব না দিতে ততোদিন পর্যন্ত মাদ্রাসা অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।
এলাবাসী ও সমন্বয়কারীরা জনান যে, প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে, এরকম অনেক হাজারো অভিযোগ আছে, তিনি এমন কোন কাজ নেই যে, এই প্রতিষ্ঠানে করেন নাই। আমাদের প্রতিষ্ঠানটি দিন দিন মুখ থুবড়ে পড়েছে।। তাই আমাদের এক দফা এক দাবি।
নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক, এই ইউনিয়নের সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য তিনি জানান যে, এই প্রতিষ্ঠান টি আমাদের সকলের, আমাদের ছেলে – মেযরাই এখানে পড়াশুনা করে, এতো অনিয়ম অভিযোগ ভিওিতে, আমরা ঘরে বসে না থেকে, ছাএ সমাজের আন্দোলনের সাড়া দিয়েছি, যেহেতু প্রতিষ্ঠান প্রধানের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ অভিযোগ করেছে। আমরা চাই এটার সুষ্ঠ সমাধান হউক।
প্রতিষ্ঠান প্রধানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান যে সমস্ত অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে করা হয়েছে, এগুলোর কোন বাস্তবতা নেই, সম্পন্ন ভিওিহীন, এলাকার কিছু কুচক্রী মহল, আমাকে ফাঁসানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে।