মোঃ আমিনুর ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ । শুধু নদী থেকেই সরকার প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে থাকে । খেয়াঘাট সরকারি আয়ের অন্যতম একটি উৎস । জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে সরকার বিভিন্ন নীতি ও শর্ত দিয়ে জনগণের হাতেই ঘাটের ইজারা দিয়ে থাকে । মানিকগঞ্জ সদরের হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুণ্ডি ঘাট তার অন্যতম ।
সাম্প্রতিক বিভিন্ন অনিয়ম ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ঘাটের ইজারাদারের বিরুদ্ধে ।
গতকাল সরজমিন থেকে তথ্য নিয়ে জানা যায়, যাতায়াত মূল্য জনপ্রতি জন ৫, সাইকেল ১০, মোটরসাইকেল ১৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল স্থানীয় সরকার । কিন্তু ঘাটের ইজারাদাররা দ্বিগুণ মূল্য উসুল করছে সাধারণ জনগণ থেকে । দুবছর যাবত সাইনবোর্ডবিহীন মানুষের অজান্তেই এমন দুর্নীতি চালাচ্ছিল তারা । সঠিক মূল্য যারা জানত তা দিতে গেলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি প্রদান করত । ঘাট পরিচালক হিন্দু সম্প্রদায় হওয়ায় সংখ্যালঘু অত্যাচারের মামলার ভয় দেখানো হত ।
জানা যায়, স্থানীয় এক যুবক গত ১৫ আগস্ট২০২৪ইং তাদের দ্বিগুণ ভাড়ার প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে সংখ্যালঘু অত্যাচার ও চাঁদাবাজি মামলার হুমকি দেয়। উপায়ান্তর না পেয়ে স্থানীয় ৫৩ জনের গণস্বাক্ষর নিয়ে ঐ যুবক থানা ও ইউএনও বরাবর তাদের অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করে । এ বিষয়ে ঘাটের ইজারাদার দুখিরাম(৪৬) অবগত হলে গত ১লা সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করে । কিন্তু ঐদিন প্রতিবাদের ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজ থেকে বুঝা যায়, মামলাটি ছিল সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ।
এ বিষয়ে হাটিপাড়া ইউনিয়ন সচিব কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি বলেন, ঘাটের অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছি এবং তা আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে অবগত করেছি ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিডিও এক বক্তব্যে তারা বলেন, আমাদের এ বরুুন্ডি খেয়া ঘাটে প্রচুর দুর্নীতি করা হচ্ছে । ঘাট অপরিষ্কার, ভাড়া দিগুন, তাদের কয়েকটি মুদি দোকানের স্বার্থে ঘাটের স্থান পরিবর্তন সহ সাধারণ জনগণের সাথে দুর ব্যবহারের অন্ত নেই ।
স্থানীয় জনগণের দাবি, অতি দ্রুত মানিকগঞ্জ সদরের হাটিপাড়া ইউনিয়নের এই বরুন্দি খেয়াঘাটকে জনগণের সেবার লক্ষে সরকারের অতি দ্রুত হস্তক্ষেপ নিতে হবে এবং সেই সাথে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে ।