নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড থানার ৩৯ নং ওয়ার্ডস্থ এস আলম বি আলম গলির সিটিং মার্কেট এলাকায় বিবাহের কথা বলে একটি রুম ভাড়া নিয়ে ১মাস ধরে ধর্ষণ করেন রাশেদা বেগম নামে এক নারীকে।অভিযোগ উঠছে রিকশা গ্যারেজ মালিক রাজুর বিরুদ্ধে। গত ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যায় এসব তথ্য জানান ঐনারী।
এবিষয়ে ভুক্তভোগী রাশেদার কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদমাধ্যমকে ভিডিও সাক্ষাৎতে বলেন,রাজু আমাকে বিবাহের কথা বলে এস আলম বি আলম গলির সিটিং মার্কেট এলাকায় একটি ভাড়াবাসা নিয়ে বিবাহের কথা বলে প্রতিদিন আমাকে ধর্ষণ করেন,বিবাহের কথা বললে রাজু আমাকে বলে আজকে করব কাল করব বলে একটি মাস হয়ে যায়।আমাকে বিবাহ না করে উল্টা আমাকে জানে মারার হুমকি দেন রাজু।
তিনি আর ও বলেন,আকমল আলী রোড পকেট গেইটে বেড়িবাঁধের আগে রাজুর একটি রিকশার গ্যারেজ রয়েছে। রাজু আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে আমাকে ধর্ষণ করেন, ।বিবাহের আগে রাজু বলেছিলো তিনি কোনো মেয়েকে বিবাহ করে নাই,তিনি অবিবাহিত বলে আমাকে নিয়ে একটি ভাড়াঘরে উঠেন। পর ভালেভাবে খোজখবর নিয়ে দেখি রাজু বিগত আগেও দুটি বিবাহ করেছে।
তিনি আরও বলেন,বিগত আগেও বিবাহের বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ভাবে কয়েকবার সমাধান হয়েছিলো,যে রাজু আমাকে শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করার কথা।একদিন পর রাজু আমাকে বলেন আমি তোমাকে বিবাহ করব না,তোমার যদি কিছু করার ক্ষমতা থাকে তুমি করতে পারো।তিনি আরও বলেন,রাজু একজন প্রতারক সে আমাকে বিবাহের কথা বলে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। আমি রাজুর কঠিন বিচারের দাবী জানাচ্ছি। এবং আমি প্রতারক রাজুর বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে একটি মামলা দায়ের করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি বলে জানান তিনি।
রাশেদার ধর্ষণের বিষয়ে রিকশা গ্যারেজ মালিক রাজু’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি তার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,আমি রাশেদার সাথে কোনো ধরনের খারাপ কাজ করি নাই,রাশেদা আমাকে হয়রানি করেছে,এবং আপনাদেরকে ও হয়রানি করছে,রাশেদা আমার সাথে প্রতারণা করেছে,আমি রাশেদার সাথে কোথাও বাসা নিয়ে ছিলাম না।রাশেদা যেসমস্ত কথাবার্তা বলছে এইসব কথাবার্তা মিথ্যা ও বানোয়াট বলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন রিকশা গ্যারেজ মালিক রাজু।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গেছে,রাজু বিগত আগেও দুটি বিবাহ করেন বর্তমানে ছোট বউকে নিয়ে রাজু সংসার করছেন।রাজু ছেলে হিসাবে ভাবে তেমন একটা ভালো না।দুটি স্ত্রী থাকা সত্তােও তিনি অন্য আর একজন মেয়ের সাখে প্রেম করেছে বিষয়টি সত্তো বলে জানান তিনি।
রাজুর বিষয়ে মানবাধিকারের এক কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,রাজু বিগত অনেক আগে তার বড় বউকে তালাক দেয়ার জন্য আমাদের কাছে একটি অভিযোগ দিয়েছিলো,পরে রাজু আমাদের সাথে দেখা করেন নাই। রিকশা গ্যারেজটি রাজু’র না,রাজু ঐগ্যারেজে চাকরি করে,
বর্তমানে রাজু ছোট বউকে নিয়ে সংসার করছে,এর বাহিরে আর কিছু জানি না বলে জানান তিনি।
এবিষয়ে রাজুর ছোট বউ এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার মুঠোফোনটির সংযোগ বিছিন্ন পাওয়া গেছে।