মোঃ মজিবর রহমান শেখ,ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও জেলার রানিশংকৈল উপজেলার ৬ নং — কাশিপুর ইউনিয়নের লধাবাড়ী পারকুন্ডা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১০/১২ জন শিক্ষার্থী জন্য আছেন ১৪ জন শিক্ষক ও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির আরো ৫ জন নিয়োগ প্রাপ্ত কর্মচারী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ এবং সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রধান শিক্ষক নিয়মিত স্কুলে আসেন না এবং শিক্ষার্থী কম থাকায় প্রায় দুপুর ২ টার আগেই স্কুল ছুটি হয়ে যায়। এলাকাবাসী মোঃ মোস্তফা বলেন, আমার বাড়ী বিদ্যালয়ের পাশে। আমি লক্ষ করি প্রায়দিন প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেন না এবং ছাত্র ছাত্রী কম হওয়ায় স্কুল দুপুরের আগে ছুটি হয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জন এলাকাবাসী স্কুলের প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় চেয়ারম্যান হওয়ায় স্কুলে কম আসেন,ছাত্র-ছাত্রী কম তাই স্কুল তাড়াতাড়ি ছুটি দেন। ছাত্র-ছাত্রী চেয়ে শিক্ষকই বেশি।
একজন অভিভাবক বলেন, আমার মেয়ে ফাতেমা ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়ে কিন্তু স্কুলে শিক্ষার্থী নাই দেখে আমার মেয়ের দিন দিন পড়া লেখা নষ্ট হচ্ছে। স্কুলে হেড মাস্টার নিয়মিত আসেন না, এবং স্কুলটি তাড়াতাড়ি ছুটি হয়ে যায়। এটা একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার।
৮ম শ্রেনির শিক্ষার্থী সুমি আক্তারের অভিভাবক বলেন, প্রধান শিক্ষককে আমার চোখেই পরে না। নিয়মিত রুটিন অনুযায়ী ক্লাস হয় না। স্কুল দুপুরেই ছুটি হয়ে যায়। সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোঃ আনিসুর রহমান কে মুঠোফোনে এই বিষয়ে জিজ্ঞেস করিলে তিনি বলেন, প্রধান শিক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় (বাচোর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান) দীর্ঘদিন থেকে স্কুলে আসেন না। ক্ষমতার অপব্যবহার করে মাসে দুই একদিন এসে সারা মাসের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান এবং দায়িত্ব পালন না করেও দীর্ঘদিন থেকে বেতন তুলেন। সাবেক সভাপতি বিমল চন্দ্রকে খুঁজে পাওয়া না গেলে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি, রানিশংকৈল উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ তোবারক হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি।তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন হোম ভিজিট করে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাড়ানোর জন্য। প্রধান শিক্ষকের অনুপস্থিতি নিয়ে বলেছেন আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এই বিষয়ে রানিশংকৈল উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোঃ রাকিবুল ইসলাম বলেন, অভিভাবকদের পক্ষ থেকে লিখিত সুনির্দিষ্ঠ অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।