রাসেদ বিল্লাহ চিশতীঃ
নোয়াখালী পৌরসভার মহিলা কলেজ রোডের লক্ষীনারায়নপুরে ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী ফকির চাড়ু মিজি ( রাঃ) দরগাহে হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। মাজারে হামলার ঘটনায় মাজার কমিটির বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের পুত্র হৃদয়ের ( ৩২) সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে।
আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ফজরের নামাজের পর একদল দূর্বৃত্ত সকলের অগোচরে ফকির চাড়ু মিজি শাহ (রাঃ) মাজারে হামলা ভাংচুর করে মাজারে ভেঙে দেয়।
জুমার নামাজের পর মাজার ভাঙার খবর মাইজদী শহরে ছড়িয়ে পড়লে স্হানীয় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন। মাজার হামলার ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে মাজার কমিটির বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের বাড়িতে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে।
নোয়াখালী ইতিহাস গ্রন্থ সুত্রে জানা যায়, গত উনিশ শতকের গোড়ার দিকে অন্যান্য পির ওলিদের সাথে আরব থেকে নোয়াখালীতে আসেন আধ্যাতিক সাধক ফকির চাড়ু মিজি শাহ (রহ.)। লোকসমাজে তার কেরামতিতে মুগ্ধ হয়ে বসবাসের জন্য তৎকালীন ভুলুয়া স্টেটের জমিদার রাজ বাহাদুর তাকে একখণ্ড জমি দান করেন।
সে জমিতে তিনি বসবাস শুরু করেন। ওফাতের পরে এই মহান সাধককে সেখানে শায়িত করা হলে মাজার শরিফ গড়ে উঠে। স্হানীয়দের অভিযোগ, মাজারটিতে গত ২০০ বছরে শরিয়ত বিরোধী কোনো কর্মকাণ্ড হয়নি। প্রতিবছর এখানে ওরসের সময়টাতে দরগা মেলা অনুষ্ঠিত হয়। সে মেলায় আশেপাশের কয়েকটি জেলার মানুষের আগমনে জমজমাট হয়ে উঠতো।
তারা আরো জানান, নামাজের পর আমরা জানতে পারি মাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলামের পুত্র হৃদয়সহ ( ৩২) একদল দূর্বৃত্ত নিয়ে মাজারে ভাংচুর করেছে। জানা যায়, মাজারের আয়কৃত অর্থ থেকেই তাজুল ইসলাম অবৈধভাবে একটি বাড়ির মালিক হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মাজার পূন-নির্মাণ করে দিতে বিতর্কিত তাজুল ইসলামকে আগামী ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়।