মোঃ জহিরুল ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার
পূর্ব বিরোধিতা জেদ ধরে প্রতিপক্ষ আল আমিন(২৮) নামে যুবকের উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সন্তাসীরা জখম করেছে। গত শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে বরগুনা তালতলী উপজেলার গাজীর খেয়াঘাট নতুন বাজারে এ ঘটনা ঘটে ।
আহত আল আমিন (২৮) তিনি তালতলী উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তালতলী উপজেলার গাজীর খেয়াঘাট নতুন বাজার ইউনুস মুন্সির ছেলে জাকির (৩৩) নামে এর সঙ্গে পাশাপাশি গ্রামের আল আমিন (২৮) নামে এর সাথে বিগত চার বছর আগে এলাকার ফুটবল খেলা নিয়ে উভয়ের মধ্য মারধর হয়েছিল এবং সেই বিরোধ তৎকালীন সময় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উভয় পক্ষের সম্মতির মাধ্যমে সালিশ মীমাংসায় করে দেয় এবং ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে সম্মতি হয়।
সূত্র থেকে জানা যায় এই জাকির যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় ছিল তখন আওয়ামী পরিচয় অত্র এলাকার বিভিন্ন মানুষের উপর হামলা ও জুলুম অত্যাচার করেছে । আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরে এই জাকির বর্তমান অন্য একটি দলের পরিচয় দিয়ে এলাকায় একই স্টাইলে মানুষের উপর অত্যাচার করে। তালতলী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শ্রমিক আল আমিন তিনি তিন দিনের জন্য ছুটিতে বাড়ি আসে ,গত শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার সময় চুল কাটার জন্য স্থানীয় নতুন বাজারের একটি সেলুনে চুল কাটতে বসে ওই সময় বিরোধীরা তাদেরকে একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে “এইতো” দাবি করে জাকির ,জাকিরের বড় ভাই ও রাজ্জাক মুন্সী নামের লোকগুলো প্রথমে রড এবং হাতুড়ি নিয়ে সেলুনের ভিতরে আল আমিনকে আক্রমণ করে।
এক পর্যায়ে সেলুনের দোকানের ভিতর থেকে বের করে রড ও হাতুড়ি দিয়ে মারতে মারতে রাস্তার পাশে ফালায়, তার ভাগিনা ইব্রাহিম(২২) নামে যুবককে আগে থেকে এনে রাখে এবং দাড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত দিতে চাইলে বাম কানের উপর পরে এবং বুকেও আঘাত করে। বুকে আঘাত করায় অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে জানা যায় । কাঁদে দুইটি কামড়ের দাগ বসিয়েছে। এমনকি সন্ত্রাসীরা হাতুড়ি প্লাস দিয়ে আল আমিনের পায়ের একটি আঙ্গুলের সম্পূর্ণ নক উঠিয়ে ফেলেছে।
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হিমাদ্রী রায় বলেন, আল আমিন এর বাম কানের অবস্থা খুবই ভয়াবহ ,একটি নক পুরোপুরি তুলে ফেলেছে এ ছাড়া তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখমের চিহ্ন রয়েছে। তালতলী উপজেলা হসপিটালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত সরাসরি পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিলে স্বজনেরা তাঁকে সেখানে নিয়ে ভর্তি করেন এবং ইমারজেন্সিতে ১৩টি সেলাই দেওয়া হয়।
তবে ইউনুস মুন্সীর ছেলে জাকির মুন্সী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন ,’কথা–কাটাকাটি হয়েছে শুধু মাত্র’। তালতলী থানার পরিদর্শক (ওসি) বলেন, ‘এ বিষয়ে এখনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।