এনামুল কবির, বানারীপাড়া :-
বরিশালের বানারীপাড়ায় দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থায়নে ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরে বাস্তবতায়নে বিগত বছরের চেয়ে বেড়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। চারদিকে নদী বেষ্টিত বানারীপাড়া ৫ টি উইনিয়ন, রয়েছে প্রচুর খাল বিল, জলাশয় ।
এ সব জলাশয়ে বছরের অধিকাংশ সময় পানিতে ডুবে থাকে। এতে প্রজনন করছে প্রচুর দেশীয় মাছ। যেমন: শিং, কই, শোল, টাকি, গজার, টেংড়া, বেলে, মেনে মাছ সহ নানান প্রকারের মাছ। এক সময় এসব মাছে ভরপুর থাকলেও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে এ সব মাছ। ইতিমধ্যে হারিয়ে গেছে অনেক প্রজাতি মাছ ।
এর কারন হিসেবে দেখা গেছে অবৈধ ভাবে মাছ ধরা, বিষ প্রয়োগে মাছ ধরা, খাল শুকিয়ে মাছ ধরা, এ ছাড়াও বড় একটি কারন অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল, নেট জাল, মশারি জাল ব্যাবহার। এ জালে ব্যবহারে ধংসের মুখে পড়েছে দেশীয় মাছ। দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প অর্থায়নে ও উপজেলা মৎস্য দপ্তরের বাস্তবায়নে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ফিরতে শুরু করেছে দেশীয় প্রজাতির মাছ। অন্যতম পদক্ষেপ গুলোর মধ্যে অবৈধ চায়না দুয়ারি জাল, চায়না চাই, বেহুন্দী (বাধাঁ)জাল উচ্ছেদ এবং মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির লক্ষে বিভিন্ন জলাশয়ে পোনা অবমুক্ত মাধ্যমে নদী গুলোতেও বেড়েছে সাদা মাছের সংখ্যা।
এ ছাড়াও এ প্রকল্পের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন কবলিত জেলে, অসহায় দুস্থ জেলেদের জীবন মান উন্নয়নে বকরি ছাগল বিতরন করা হয়। এছাড়াও বৈধ জাল ব্যাবহার বৃদ্ধিতে বৈধ জাল প্রদান করা হয়েছে। অপর দিকে বিভিন্ন প্রদর্শনী স্থাপনের মাধ্যমে চাষীদের স্বাবলম্বি করছে। এতে সুবিধা পাচ্ছে নারী মৎস্য চাষীগনও। এছাড়াও এ প্রকল্পের মাধ্যমে মাছের নিরাপদ বিচরন কেন্দ্র হিসেবে বানারীপাড়ার সন্ধ্যা নদনদীতে তৈরী করা হয়েছে মৎস্য অভয় আশ্রম।
এ ব্যাপারে মৎস্য কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন রজনী দৈনিক দক্ষিনাঞ্চল কে বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করছে। এ প্রকল্পের অনুদানে জেলেদের জীবনমান উন্নত হচ্ছে। প্রকল্পের কার্যক্রমে মৎস্যজীবি ও মৎস্য চাষীরা উপকৃত হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন মৎস্যচাষী। জেলেরা বিকল্প কর্মসংস্থান সুযোগ পাচ্ছে, বৈধ জাল বিতরনের ফলে অবৈধ জাল বন্ধ হচ্ছে।
এক কথায় বলা চলে দেশীয় প্রজাতির মাছ এবং শামুক সংরক্ষণ ও উন্নয়ন প্রকল্প কাজ শুরু হওয়ার পর দক্ষ মাঠ সহায়ক কর্মী ও মৎস্য দপ্তরের অফিসারদের সমন্বয়ে কাজের ফলে একদিকে জেলেরা বিকল্পকর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে অন্য দিকে অবৈধ জাল ব্যাবহার বন্ধ হচ্ছে। দেশীয় প্রজাতির মাছ বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা পাচ্ছে। আশা করা যায় এ প্রকল্প চলমান থাকলে দেশীয় প্রজাতির মাছ দেশে ঐতিহ্য রক্ষা পাবে।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।