এনামুল কবির, স্টাফ রিপোর্টার:-
বরিশালের বানারীপাড়ায় সন্ধ্যা নদীগর্ভে বিলীন আতঙ্কে রয়েছে কয়েক হাজার ঘর বাড়ি। বানারীপাড়ায় কোল ঘেষে বয়ে গেছে সন্ধ্যা নদী। প্রকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা সন্ধ্যা নদী একটি ভয়াল রুপ রয়েছে।
কারন এই সন্ধ্যা নদীর ভয়াল গ্রাসে দাসেরহাট, মসজিদবাড়ি, খোদাবখসা, খেজুরবাড়ি, কালিবাজার, শিয়ালকাঠির কয়েক হাজার পরিবার বাপ- দাদার ভিটাবাড়ি হারিয়েছেন। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ। বর্তমানে আসংঙ্কা জনক হারে নদী ভাঙনের কারনে আগামীতে আরো কয়েক হাজার ঘর বাড়ি সন্ধ্যা নদীতে বিলীন আতঙ্কে রয়েছে।
সর্বক্ষণ আতঙ্কে আছে এই বুঝি রাক্ষুসী সন্ধ্যা নদী সব কেড়ে নিবে। দীর্ঘ দিন যাবত এই সন্ধ্যা নদী ভাঙন রোধে কার্যকারি পদক্ষেপ নজরে পড়েনি উপজেলাবাসীর। নামমাত্র জিও ব্যাগে বালুর বস্তা নজরে আসলেও এতে নদী ভাঙন রোধ সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। তারা জানান, স্থায়ী ভাবে কোন ব্যাবস্থা তো করা হয়নি বরং এপাড় ভেঙ্গে ওপারে চর জাগলে তা দখল করে ভোগ করার উৎসব চলছিল। তারা আরো জানান, ভাঙ্গন রোধ না করে অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলন করে আরো বিপদের মুখে ফেলেছে আমাদের। আমরা বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করি এবং বালু উত্তোলনে বন্ধের আবেদন জানালে বন্ধ তো হয়নি বরং মামলা, হামলা শিকার হতে হয়েছে। স্থানীয় আর একজন জানান, আজকে বয়াতিবাডির মসজিদ ও ছোট ব্রীজটি নদীতে বিলিন হয়ে গেছে দুপুরে। এতে করে কয়েক হাজার পরিবার বিপদমুখী।
তাদের নির্ঘুম রাত যাচ্ছে। যে কখন নদীর বুকে তাদের শেষ আশ্রয় স্থানটি তলিয়ে যায়। এই নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী সমাধানের জন্য সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানববন্ধনের কথাও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।