ওসমান গনি মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক সদস্য দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া (৬৫) গং এর বিরুদ্ধে ঢাকা-বেতকা পরিবহন দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠছে ঢাকা-বেতকা পরিবহন মালিকরা সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, জেলা বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন ভুইয়া (৬৫), সিরাজদিখান উপজেলা যুবদল সদস্য আলী জিন্নাহ তুহিন (৩০), সাবেক প্রচার সম্পাদক বাহাদুর ভুইয়া সুমন (৩২), সিরাজদিখান উপজেল শ্রমিক দল সভাপতি নজরুল ইসলাম (৪০), কেয়াইন ইউনিয়ন শ্রমিক দল সভাপতি নবু হোসেন (৩৫), সাধারণ সম্পাদক রবিন (৩৫), বিএনপি নেতা তালেব (৫০)সহ ২৫/৩০জন মিলে সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর চৌরাস্তায় ঢাকা-বেতকা পরিবহনের বাস থামামিয়ে বাসের উপরে থাকা ঢাকা বেতকা পরিবহনের নামের উপর তাদের শঙ্খচিল নামের ব্যানার লাগিয়ে দেয়।
এসময় বাসের ড্রাইভার ও হেলপাররা নিষেধ করলে তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি সহ হুমকি প্রদান করে। বাস মালিক সঙ্কর ভাওয়াল বলেন, আজ সকালে আমার গাড়িটি বেতকা থেকে ছেড়ে ঢাকা যাচ্ছিল। গাড়িটি সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর এলাকায় আশা মাত্রই বিএনপি নেতা দেলোয়ার ভূইয়ার লোকজন এসে গাড়ি থামিয়ে জোরপূর্বক তাদের ব্যানার লাগিয়ে দিয়ে গেছে।
বাস মালিক আকবর মজুমদার, রবি, মানিক শেখ, শুদেব ভাওয়াল, খোরসেদ আলম, মনির হোসেন, রনি শেখ, আলম শেখ বলেন, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে আমাদের বাস গুলো ঢাকা-বতকা সড়কে চলাচল করে আসছিল। আজ সকালে বিএনপি নেতা দেলোয়ার ও তার লোকজন মিলে আমাদের গাড়ির উপর শঙ্খচিল স্টিকার লাগিয়ে তাদের দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। আমরা সকল বাস মালিকরা মিলে আমাদের মালিক সমিতির সভাপতির মাধ্যমে সিরাজদিখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।
ঢাকা-বেতকা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি হাসান মাসুদ শিকদার বলেন, সকাল থেকেই বাস মালিকরা আমাকে ফোন দিয়ে জানায় সিরাজদিখান এলাকায় গাড়ি থামিয়ে আমাদের পরিবহনের উপর জোরপূর্বক শঙ্খচিল লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তীতে আমি খবর নিয়ে জানতে পারি বিএনপি নেতা দেলওয়ার ও তার লোকজন মিলে আমাদের গাড়িগুলোর উপর স্টিকার লাগিয়ে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
পরে আমি সকল মালিকদের সাথে আলোচনা করে সিরাজদিখান থানায় লিখিত অভিযোগ করি। এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত জেলা বিএনপি আহবায়ক সদস্য দেলোয়ার ভূইয়ার মুঠোফোনে একাধিক বার কল দেওয়া হলেও তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। মুন্সীগঞ্জ জেল বিএনপি সদস্য সচিব কামরুজ্জামান রতন বলেন, এই ধরনের অপকর্ম আমার দল ও আমি কখনোই বরদাস করবো না। ভুক্তভোগীরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে ডকুমেন্ট আমার কাছে পাঠালে।
আমি দলকে জানিয়ে তাকে ২৪ ঘন্টার শোকজ লেটার দিব। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।