মোঃ মজিবর রহমান শেখ, ঠাকুরগাঁও
২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ বিডিআর সদস্যদের চাকুরীতে পুন:বহাল করা এবং কারাবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
১৭ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার ঐ ঘটনায় ঘতিগ্রস্থ সাবেক বিডিআর সদস্যরা ঠাকুরগাঁও জেলা কালেক্টরেট চত্বরে জড়ো হয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর এ স্মারকলিপি পেশ করেন। বিডিআর কল্যাণ পরিষদ ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে পিলখানার ঘটনার সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ সদস্যদের পক্ষে এবং সংগঠনের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন হাবিলদার মো: হারুন-অর-রশিদ।
পরে ৮ দফা দাবি সম্বিলিতি স্মারকলিপি ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানার পক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: সোলেমান আলীর হাতে তুলে দেন।
৮ দফা দাবিগুলো হলো:- বিডিআর পিলখানা সংগঠিত পরিকল্পিত হত্যাকন্ডকে তথাকথিত বিদ্রোহ সংঙ্গায়ীত না করে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হিসেবে আখ্যায়িত করা, এ ঘটনায় গঠিত সকল প্রহসনের বিশেষ আদালতে নির্বাহী আদেশ বাতিল করা, চাকুরীচ্যুত সকল পদবীর নিরপরাধ বিডিআর সদস্যকে সুযোগ সুবিধা সহ চাকুরীতে পুন:বহাল করা, হত্যাকান্ড মামলার মহামান্য হাইকোর্টের বিচারকগণের রায়ের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী পিলখানার হত্যাকান্ডের ঘটনার মোটিভ উদ্ধার ও কুশিলবদের সনাক্তকল্পে স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করা, এ ঘটনায় শাহাদাৎ বরণকারী ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনকে শহীদের মর্যাদা দেওয়া, ২৫ শে ফেব্রুয়ারী দিনটিকে পিলখানার ট্রাজেডি দিবস হিসেবে ঘোষনা, এ ঘটনার পরবর্তী তদন্ত/জিজ্ঞাসাবাদে নিরাপত্তা হেফাজতে যে সকল নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের নির্যাতন পূর্বক হত্যা করা হয়েছে তাদের তালিকা প্রকাশ পূর্বক মৃত সকল পদবীর পরিবারকে ক্ষতিপূরণ সহ পুণর্বাসন করা এবং বিশেষ আদালত কর্তৃক বিভিন্ন মেয়াদে সাজাভোগ শেষকারী নিরপরাধ বিডিআর সদস্যদের প্রহসনের বিস্ফোরোক মামলায় দীর্ঘ ১৬ বছর যাবৎ কারা অন্তরীন আছে, তাদেরকে জামিন অথবা অব্যাহতি পূর্বক মুক্ত করার দাবি।