শাহাদুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টারঃ
মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয় ফুলহারার দুর্নীতিগ্রস্থ ও জালিয়াতির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তার এর বিচার ও অপসারণ এর দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকবৃন্দ ও এলাকাবাসী।
রবিবার(২২ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২ টায় উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের ফুলহারা আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাজার প্রদক্ষিণ করে।
বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থী জানান,স্কুলে অনুপস্থিত থাকার কারণ দেখিয়ে মোটা অংকের জরিমানা আদায় করে প্রধান শিক্ষক, নিয়মিত ক্লাসের দাবি করলে সে হুমকি দেয় পড়াশোনার দরকার নাই গার্মেন্টসে চাকরিতে যাও। স্কুলে নিয়মিত ক্লাস হয় না এই ব্যাপারে তার কোন পদক্ষেপ নেই, নবম শ্রেণী থেকে প্রত্যেক বিভাগের আলাদা ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও তিনি সকল শিক্ষার্থীকে একসাথে ক্লাস করান। বাণিজ্য বিভাগের গত চার বছরে কোন ক্লাস হয় নাই বলে আরো অভিযোগ করেন কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান(৪ নং ওয়ার্ড ফুলহারা) জানান, আঞ্চলিক উচ্চ বিদ্যালয় ফুলহারার প্রধান শিক্ষক শিল্পী আখতার দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে স্কুলে নিয়োগ পান। সরকারি আইনে সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকের পদোন্নতি পেতে ১২ বছর সময় লাগলেও তিনি মাত্র দুই বছর পরেই দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে এই চেয়ারে বসেন।এই স্কুল থেকে তিনি মেধাবী অনেক শিক্ষককে অন্যায় ভাবে অন্যত্র সরিয়ে দেয়, তার মধ্যে রয়েছে রমজান স্যার, মিজান স্যার এবং সেই সুযোগে উনি প্রধান শিক্ষক হন। উনার স্বামী সাইদুর হোসেন মোল্লা এই স্কুলের সভাপতি। স্বামী স্ত্রী দুজন মিলে স্কুলটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে। ফরম ফিলাপের সময় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করে। স্কুলের গাছ বিক্রি করে সেই টাকা নিজের পকেটে ঢুকায়, স্কুলের গাছ দিয়ে নিজের বাসার ফার্নিচার তৈরি করে।
তিনি আক্ষেপ করে আরো বলেন স্কুলে দুর্নীতি করে প্রধান শিক্ষক তার দুই মেয়েকে প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে পড়ায় যেখানে হাওন আঙ্কেলের মেয়েরা পড়াশোনা করে।
এলাকাবাসী আরো অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তার স্কুলের ব্যবহৃত ল্যাপটপ কম্পিউটার বাসায় নিয়ে গেছে যেগুলো তার সন্তানরা ব্যবহার করে।
স্কুলের কোমলমতি বাচ্চাদের পানির ফিল্টারটাও উনি বাসায় নিয়ে গেছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর একটাই দাবি প্রধান শিক্ষক শিল্পী আক্তারের পদত্যাগ, এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তাকে যেন বিচারের আওতায় আনা হয়।