হাবিব হাসান,ময়মনসিংহ:
ইলিশে ভরা মৌসুম জুলাই-সেপ্টেম্বর মাস। ভরা মৌসুমে ময়মনসিংহের ভালুকা বাজারে ইলিশের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও আকাশচুম্বী দামের কারণে ইলিশ মাছ কিনতে পারছে না সাধারণ মানুষ। ভারতে রপ্তানি বন্ধ করা হলেও সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে স্থানীয়দের। বাধ্য হয়ে জাতীয় মাছ ইলিশ খাওয়ার ইচ্ছে বিসর্জন দিতে হচ্ছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৮০০ টাকা কেজি। মাঝারি ও ছোট সাইজের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৬৫০-৭৫০ টাকা কেজি দরে। যা সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।
সিংগারা বিক্রেতা হারিস মিয়া আফসোস করে বলেন, অনেকদিন হলো ইলিশ খাই না।এক কেজি ইলিশ কিনতে লাগে ১৮০০ টাকা। ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ হলেও কিনে খাওয়ার ভাগ্য আমাদের নাই।’
পৌরসভার বাসিন্দা হুজ্জাতুল তৌহিদ বাবু বলেন, ‘ইলিশের দাম সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। এতো দাম দিয়ে সাধারণ মানুষের পক্ষে ইলিশ কিনে খাওয়া সম্ভব না। পাঁচ-ছয়শ টাকা হলে হয়ত বছরে দুই-একবার কিনে খাওয়া যেত।’
তবে ভিন্ন কথা বলছেন ভালুকা বাজারের ইলিশ বিক্রেতারা, তাদের মতে বাজারে চাহিদার তুলনায় মাছের সরবরাহ কম হওয়ায় দাম বেশি।
এদিকে ইলিশের দাম কিছুটা নাগালের মধ্যে রয়েছে ভালুকার পার্শ্ববর্তী কয়েকটি উপজেলায়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ত্রিশালে বড় সাইজের ইলিশ বিক্রি হয় ১২০০-১৪০০ টাকায়, গফরগাঁওয়ে ১৫০০ টাকায় ও ময়মনসিংহ জেলা সদরে ১১০০-১৩০০ টাকায়।
দামের বিষয়ে জানতে চাইলে ভালুকার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদুর রহমান বলেন, দামটা নির্ভর করে জেলেদের ইলিশ আহরণে খরচের উপর এবং বাজারে ইলিশের সরবরাহের উপর। তবে আমরা বাজার মনিটরিং করি। কিন্তু সরকার থেকে ইলিশের দামের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো নির্দেশ না থাকায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। তবে ভোক্তাদের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি আমরা দেখবো।