মনিরুল ইসলাম মনি খুলনা ব্যুরো প্রধান
দাকোপের লাউডোবে অনার্স পড়ুয়া কলেজ ছাত্রকে অহেতুক মারপিটের ঘটনায় জড়িত ইউপি দফাদার নিমাই জর্দ্দার কে কারণ দর্শানোর নোটিস দিয়েছে লাউডোব ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ।
কারণ দর্শানো নোটিশে বলা হয় বিনা কারণে বিনা অনুমতিতে ইউনিয়ন পরিষদের সভাকক্ষে আটক করে প্রহর করা একজন ইউনিয়ন পরিষদের কর্মচারী হয়ে ক্ষমতা অপব্যবহারের সামিল ও চাকরি বিধিমালা পরিপন্থী বলে মনে করা হয়। গত ২৮ অক্টোবর তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা টিঘটে এলাকাবাসি সূত্রে জানাযায়, দাকোপের ৩ নং লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা ইউপি সদস্য লিপিকা হালদার রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছিলেন ঐ রাস্তার পাশে বাচ্চা ছেলেরা খেলা করছিলো ঐসময় বাচ্চাদের ছোড়া একটি সেন্ডেল ঐ মহিলা ইউপি সদস্যের হাতে লাগলে তাতখনিক ঐ বাচ্চা টিকে চর থাপর মারে ।
এরপর ঐ মহিলা ইউপি সদস্য ক্ষিপতো হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার নিমাই জর্দ্দার কে ডেকে এনে খুটাখালীর বাজারের মোঃ জলিল মোল্লার ছেলে অনার্স পড়ুয়া কলেজ ছাত্র আল-আমিন মোল্লা (২২) কে পরিষদে নিয়ে যায়। পরিষদের সভাকক্ষে আটক করে বেধরক প্রহর করেন দফাদার নিমাই জর্দ্দার ঐ সময় চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ পরিষদে ছিলেন না। পরবর্তীতে লাউডোব ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজের দৃষ্টি গোচর হলে চেয়ারম্যানের নির্দেশে তাতখনিক দাকোপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ।
তার পরপরই শেখ যুবরাজ লাউডোব ইউনিয়ন পরিষদের জরুরি বৈঠক করে ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে স্বারক নাম্বার ২০২৩/৪৫(৪) তারিখ ২৯/১০/২৩ দফাদার নিমাই জর্দ্দার কে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজের এমন পদক্ষেপে শন্তোষ প্রকাশ ও সুষ্ঠ বিচার পাবে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। এই ঘটনার ব্যপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ যুবরাজ বলেন ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।