মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলারদের মাঝে ব্যাপক দূর্নীতি আর অনিয়ম দেখা যায়। রবিবার ১৭ নভেম্বর উপজেলার সিংজুরী ও পয়লা ইউনিয়নের দুটি সার ডিলারের মাঝে এসব দূর্নীতি লক্ষ্য করা যায়।
গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিংজুরী ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ এর প্রোঃ আবুল কাশেম চৌধুরী সরকারি কোন নিয়ম না মেনে তার সার ডিলারকে নিজের ইচ্ছে মতো পরিচালনা করে আসছে। সে আর আওতাধীন খুচরা ডিলারদের কোন সার না দিয়ে এমনকি তার ইউনিয়নের আওতাধীন সাধারণ কৃষকদের কাছে কোন সার বিক্রি না করে অন্য ইউনিয়নে সার সরবরাহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে সাধারণ কৃষকরা। সারের অভাবে তাদের জমি পতিত রাখতে হচ্ছে। এসময় সাধারণ কৃষকরা মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি করেন।
এবিষয় নিয়ে আবুল কাশেমের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমি নিজের ইউনিয়নে সার বিক্রি না করে অন্যত্র সার সরবরাহ করি এটা কৃষি কর্মকর্তা জানেন। আপনারা আসছেন চা নাস্তা খেয়ে চলে যান। এসময় তার ঘরে থাকা সোবহান মিয়া প্রতিবেদন না করার জন্য টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চান।
দীর্ঘ সময় অনুসন্ধানের পর বেরিয়ে আসে সার অন্যত্র সরবরাহ করার স্থান। উপজেলার পয়লা ইউনিয়নের বিসিআইসি অনুমোদিত সার ডিলার মেসার্স হাজী খোরশেদ হোসেন ট্রেডার্সে গেয়ে মিলে এই সার। এসময় প্রতিষ্ঠানটির প্রোঃ মোঃ আইয়ুব হোসেন অন্য ইউনিয়নের বরাদ্দকৃত সার আনার যৌক্তিক কোন কারণ দেখাতে না পারায় তিনিও টাকা-পয়সা দিয়ে ঘটনাটির ধামাচাপা দিতে চান।
এবিষয় নিয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মাজেদুল ইসলাম জানান, বরাদ্দটা ছিলো পয়লা ইউনিয়নের জন্য কিন্তু এটা সিংজুরী ইউনিয়ন কিভাবে গেলো আমি এবিষয় সম্পর্কে কোন কিছু জানি না।