শাহাদুর রহমান, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার নয়াডিঙ্গি এলাকায় অবস্থিত তারাসীমা এ্যাপারেলস্ লিমিটেড। এখানে প্রায় ১০ হাজারের উপরে কর্মচারী কাজ করে।
কিন্তু তাদের নিজেস্ব কোয়াটার না থাকায় সকল কর্মচারীদের প্রতিদিন জেলা ও জেলার বাহির থেকে যাতায়াত করা হয়। তাদের যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমই হচ্ছে ফিটনেসবিহীন বাস। ফলে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। মারা যাচ্ছে শত শত কর্মচারী।
এ ব্যপারে বাস চালকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, আমাদের গাড়ীর ফিটনেস নাই তো কি হইছে আমরা চাঁদা দিয়ে গাড়ি চালাই এতে আমাদের গাড়ি বৈধ। তাছাড়া আমরা তো সারাদিন গাড়ি চালাই না শুধু সকালে ও রাতে কর্মচারীদের যাতায়াত করি। এরপর তারাসীমার সামনে রেখে দেই।
আমরা গাড়ি তারাসীমার মালিকপক্ষের সাথে বিনিময় করেই চালাই তাছাড়া তো আর চালাতে পারতাম না। স্থানীয় জনসাধারণের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারাসীমার যাতায়াতে যে গাড়ি ব্যবহার করা হয় তার কোনটিরই কোন কাগজপত্র নাই। তাছাড়া অনেক গাড়ির হেলপার ড্রাইভার নেশায় আসক্ত থাকে। তারা এমন কোন দিন নাই যে রাস্তায় এক্সিডেন্ট করে না। কয়েকদিন আগেও এই বাস দূর্ঘটনায় অনেক লোক মারা গেছে।
এ ব্যাপারে তারাসীমা এ্যাপারেলস্ লিমিটেড এর দায়িত্বে থাকা এইচআর এন্ড এডমিন শাখার ডিজিএম মোঃ ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শ্রমিকরা আমাদের এখানে কাজ করে কিন্তু তারা কিভাবে আসবে তা একমাত্র তাদের ব্যাপার আমরা এর সাথে জড়িত নেই। কিন্তু আমরা গাড়িগুলো আমাদের ফ্যাক্টরীর সামনে রাখতে দিই এটা আমাদের দায়িত্ব। এ ব্যাপারে গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের কর্মকর্তা ওসি রুপল চন্দ্র দাস এর সাথে কথা বললে তিনি জানান আমরা অতি দ্রুত এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবো।