ঢাকামঙ্গলবার , ১ অক্টোবর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  13. ইসলাম
  14. ইসলামী জীবন
  15. এশিয়া
আজকের সর্বশেষ সবখবর

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের দায়ে কলেজ শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যা

50
admin
অক্টোবর ১, ২০২৪ ৬:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

নিউজ ডেক্স:

খাগড়াছড়িতে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত এক শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার পর পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারসহ ৫ পুলিশ এবং উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার পরপর জেলা সদরে ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্নস্থানে মাঠে নেমেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।

এর আগে, এদিন দুপুর ১টার দিকে খাগড়াছড়ি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ৭ম শ্রেণির এক ত্রিপুরা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে একই প্রতিষ্ঠানের ইন্সট্রাক্টর (বিল্ডিং মেইনটেন্যান্স) ও বিভাগীয় প্রধান শিক্ষক সোহেল রানাকে (৪৮) পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে।

এর জের ধরেই দুই পক্ষের (পাহাড়ি ও বাঙালি) মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। মূহুর্তের মধ্যে থমথমে হয়ে পড়ে সদরসহ আশপাশের এলাকা। উভয় পক্ষের মধ্যে শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। ভাঙচুর হয় টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিভিন্ন কক্ষ ও আসবাবপত্র। আহত হন পুলিশসহ অন্তত ১৫-২০ জন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই শিক্ষক সোহেল রানাকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে আসছিল পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীরা। কয়েক বছর আগে সোহেল রানার বিরুদ্ধে এক পাহাড়ি ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে মামলা হয়েছিল। ওই ছাত্রী আদালতে এসে পাহাড়ি একটি সংগঠনের চাপে মামলা করেছে মর্মে সাক্ষ্য দিলে সোহেল রানা খালাস পান এবং চাকরিতে যোগদান করেন।

সোহেল রানা চাকরিতে যোগদানের পর থেকে পাহাড়ি ছাত্ররা তার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির নানা অভিযোগ এনে প্রত্যাহার দাবি করে বিক্ষোভ ও নানা হুমকি ধামকি দিয়ে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় আজও ত্রিপুরার এক ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগে সোহেল রানাকে গণপিটুনি দেয় পাহাড়ি শিক্ষার্থীরা। এতে সোহেল রানার মৃত্যু হয়।

খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুজন চন্দ্র রায় বলেন, উত্তেজিত শিক্ষার্থীদের থামাতে গিয়ে আমি এবং জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ সংবাদকর্মীরা আহত হয়েছেন।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।