ঢাকাবুধবার , ২ অক্টোবর ২০২৪
  1. অন্যান্য
  2. অভিযোগ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন বিচার
  5. আওয়ামী লীগ
  6. আগুন
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আবহাওয়া
  10. আমাদের পরিবার
  11. আরো
  12. ইতিহাস ও ঐতিহাসিক
  13. ইসলাম
  14. ইসলামী জীবন
  15. এশিয়া
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যাকে একসময় কেউ জুনিয়র হিসেবে নিতে চাননি আজ তিনি চিফ প্রসিকিউটর

50
admin
অক্টোবর ২, ২০২৪ ৯:১১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

খোরশেদ আলম, নিজস্ব প্রতিবেদক:

এক অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনজীবী হিসেবে এনরোল্ড হওয়ার পর সিনিয়র আইনজীবীদের অধীনে জুনিয়র হিসেবে কাজ করতে চেয়ে অনেকের দরজায় কড়া নেড়েছেন। এলাকার মানুষ ও পরিচিত আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু, কেউ তাঁর অনুরোধ রাখেননি।সবাই অগ্রাহ্য করেছে। কেউ কেউ আবার মুখের উপর বলে দিয়েছেন, আমরা এলাকার লোকদেরকে কাজে নেই না।

অন্যরাস্তা খোঁজেন।এমতাবস্থায় কোর্টে কাজ করতে গিয়ে অর্থাভাবে অনেক সময়ে দুপুরে লাঞ্চ করা হয়নি-বিস্কিট আর এককাপ চা দিয়ে চালিয়ে নিতে হয়েছে। সেই এডভোকেট মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আজ অ্যাটর্নী জেনারেল পদমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর! অদম্য মনোবল, কঠোর অধ্যাবসায় ও অটুট লক্ষ্য মানুষকে তার গন্তব্য পৌঁছে দিতে পারে। কথাটি আরও একবার প্রমাণিত হলো আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর, এড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এর বেলায়। তিনি প্রমাণ করে দিয়েছেন ব্যক্তির অটুট মনোবল ও আত্মপ্রত্যয় একদিন না একদিন তাঁকে ঠিকই গন্তব্যে পৌঁছায়। তাই, তাঁর আজকের এঅর্জন তাঁকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দিয়েছে এক নতুন উচ্চতায়। আশার সঞ্চার করেছে দেশবাসীর মনে।

গর্বে চওড়া হয়েছে এলাকাবাসীর বুক। উজ্জ্বল করেছে পিতা মাতার মুখ। আজকের তাজুল ইসলাম ১৯৭৩ সালের ২৫ মার্চ জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চরআমখাওয়া ইউনিয়নের মৌলভীর চর গ্রামের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোঃ ফজলুল হক খান- যিনি একজন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন।। মাতা মরিয়ম বেগম।

তাজুল ইসলাম জামালপুর জিলা স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং আশেক মাহমুদ কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর ১৯৯৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) ও ১৯৯৬ সালে এলএলএম ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের অধীনে এনরোল্ড হয়ে উকালতি পেশাজীবনে প্রবেশ করেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

এরপর আর তাকে পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। ২০১০ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশের আলোচিত আন্তর্জাতিক যুদ্ধপরাধ ট্রাইব্যুনালে ডিফেন্স আইনজীবী হিসেবে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেন।সেসময় বড়ো বড়ো স্পর্শকাতর মামলাগুলো পরিচালনা করেছে তিনি।

এই মামলা পরিচালনার মধ্য দিয়ে তখন দেশ ও আন্তর্জাতিক মিডিয়ার নজর কাড়েন। এছাড়া পেশাগত দক্ষতা অর্জনে যুক্তরাজ্যের লণ্ডনে অবস্থিত যুদ্ধাপরাধ ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংক্রান্ত বিশ্ববিখ্যাত “ল” ফার্ম চেম্বার অব anthony Berry Qc ও Steven k-Qc সাথে কাজ করার সৌভাগ্য অর্জন করেছেন।

শুধু তা-ই নয়, কমপক্ষে বিশ্বের ২৩টি দেশে ভ্রমণ করে বহু আন্তর্জাতিক সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, রাজনৈতিক ও কুটনৈতিক বৈঠকে অংশগ্রহণ করে সেসব বিষয়ে জ্ঞানের ঝুলি পূর্ণ করেছেন। ইসরাইলের মানবতা অপরাধে অভিযুক্ত ইসরালি সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গাজা ফ্রিডম ফ্লোটিলায় আক্রমন করে ত্রানকর্মীদের হত্যার দায়ে ইসরাইলী জেনারেলদের বিরুদ্ধে তুর্কি আদালতে দায়েরকৃত Mavi marmara মামলায় তিনি একাধিকবার শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছেন।

এব্যাপারে জামালপুরের কৃতিসন্তান, চিফ প্রসিকিউটর, এড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্র যে বিশ্বাস ও আস্থা নিয়ে আমার প্রতি এই গুরু দায়িত্ব অর্পন করেছে আমার সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে আমি সেই বিশ্বাস ও আস্থার মান রাখার চেষ্টা করব, ইনশাআল্লাহ। বাদী বিবাদী কারো প্রতিই অবিচার করা হবে না। যে যতটুকু অপরাধ করেছে সে ততটুকু শাস্তি পাবে। চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম ব্যক্তিজীবনে বিবাহিত ও তিন পুত্র সন্তানের জনক। তাঁর স্ত্রী একজন গৃহিনী। বর্তমানে তিনি স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করছেন।

এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।