ওসমান গনি মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাটে অনুমোদন না নিয়ে মেলার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অনুমোদন ছাড়া মেলা আয়োজনের খবরে হতবাক সংশ্লিষ্টরা। মেলার নামে দেয়া হয়েছে রানির গাঁও পর্যটন কেন্দ্র মেলা।এদিকে মেলার নামে চলে জুয়া, লটারি, সার্কাসসহ নানা বেআইনি কর্মকাণ্ড।
কিন্তু প্রশাসনের কোনো অনুমতি নেই। অথচ উপজেলার শিমুলিয়া ২ নং ইয়ার্ডে গত ১ মাস ধরে মেলার স্টল ও মাঠ তৈরির কাজ চলছে। গত সপ্তাহে প্রশাসন জানতে পেরে অনুমোদন ছাড়া মেলা বসতে দেয়া হবে না এই মর্মে মেলার কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়।
মেলা আয়োজনের হোতা “একতা মেলার” সভাপতি আল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক স্বাপন। গত ২২ সেপ্টেম্বর মেসার্স সুজন এন্টারপ্রাইজের পেইডে জেলা প্রশাসক বরাবর ২ মাস ব্যাপী মেলার আয়োজনের জন্য অনুমতি চেয়ে দরখাস্ত করেন সুলতান মোল্লার পক্ষে মো.আল আমিন।
সুলতান মোল্লা ঘাট এলাকার ১ ,২ ও ৩ নং পার্কিং ইয়ার্ড ইজারাদার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক সূত্র জানায় ৫ আগষ্টের পর সুলতান মোল্লা পলাতক রয়েছে। এ অবস্থায় বিএনপির একটি পক্ষ চাইবে মেলার নিয়ন্ত্রণ নিতে এতে করে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। এ ব্যাপারে মেলার আয়োজক কমিটির সভাপতি মো. আল আমিন বলেন মেলার প্রস্তুতি চলছে, প্রশাসনের অনুমতি এখনো পাইনি। তবে আবেদন করেছি। বিআইডব্লিউটিএ পোর্ট অফিসার নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন আমরা শিমুলিয়া ঘাটের পার্কিং ইয়ার্ড আগামী বছরের ৩০ শে জুন পর্যন্ত ইজারা দিয়েছি সুলতান মোল্লার কাছে।
এখন তিনি কার কাছে ভাড়া দিবেন সেটা তার ব্যাপার। আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটবে কিনা তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এটা পুলিশ, প্রশাসনের ব্যাপার। পদ্মা সেতু (উত্তর) থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন মেলার আয়োজকরা আমার কাছে এসেছিলো কিন্তু সুনির্দিষ্ট কাগজ পত্র না দেখাতে পারায় মেলার কার্যক্রম বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। তারা জানিয়েছে ডিসি ও ইউএনও বরাবর মেলার অনুমতি চেয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। লৌহজং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন জানান মেলার প্রস্তুতির খবর পেয়ে আমরা সেটি বন্ধ করে দিয়েছি, আর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আবেদন জানানো হয়েছে তারা এখনো কোনো অনুমতি দেয়নি।