স্টাফ রিপোর্টার
অন্তবর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টার নাহিদ এর নাম ভাঙ্গিয়ে জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তার সম্পাদককে হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা কে এই তোফায়েল জানতে চায় দেশবাসী। ওয়াটসআপের স্কীনসট থেকে জানা যায় তোফায়েল এক সময় জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা পত্রিকার সিলেট ব্যুরোচীফ হিসেবে কাজ করতো।
ঐ পত্রিকায় থাকাকালীন সময়ে সে বিভিন্ন অন্যায় অনিয়মে জড়িয়ে পরে, শুরু করে কার্ড বাণিজ্য। এর পর সে বেশ কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় কাজ করছে বলেও সম্পাদক জানতে পারেন। শুধু তাইনা মেয়ে সাংবাদিকদের পত্রিকার কার্ড দেওয়ার কথা বলে তাহার বাসায় নিয়ে বিছানার সঙ্গী করতো। তাহার বিরুদ্ধে ১১টি ধর্ষণ মামলা হয়েছে বলে জানতে পারেন। বিকাল বার্তা কর্তৃপক্ষ আরো জানতে পারে তোফায়েল একটি প্রতারক, সে ১৩টি বিয়ে করেছে। চাঁদাবাজি, প্রতারণা, মামলা এগুলো তাহার জন্য নিত্তনৈমিত্তিক ব্যপার।
এসব জানার পর তাকে জাতীয় দৈনিক বিকাল বার্তা পত্রিকার ব্যুরোচীফ থেকে বহিস্কার করা হয়। এরপর তোফায়েল সিলেটের আলোচিত দুই নারী কেলেংকারী ও পতিতা ব্যবসার দালাল মামলাবাজ আবুল কাশেম রুমন ও নুরুদ্দীন রাসেল পরিচালিত সিলেটের স্থানীয় সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে যোগদান করে। ঐ পত্রিকার কার্ড পাওয়ার পর সে আরো বেপরোয়া হয়ে একদিকে চাঁদাবাজি- পতিতা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে সিলেটের আলোচিত বুঙ্গার গাড়ী থেকে( চোরাই) মালামালের লাইনম্যানের কাছ থেকে গাড়ি প্রতি ২,০০০/ (দুই হাজার) টাকা করে দৈনিক লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
পাশাপাশি ভলো রিপোর্টার দেওয়ার কথা বলে বিকাল বার্তার সম্পাদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে, যাতে সে আবারো ঐ পত্রিকায় কাজ করতে পারে। কিন্তু পত্রিকা কতৃপকক্ষকে ম্যানেজ করতে না পেরে গত ৮ অক্টোবর রাতে ওয়াটসআপে ম্যাসেজ দিয়ে গালিগালাজ করে, একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে বলে তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ সাহেবকে দিয়ে পত্রিকার নিবন্ধন বাতিল করিবে। সাপ্তাহিক বৈচিত্র্যময় সিলেট পত্রিকার সম্পাদক আবুল কাশেম রুমন এবং ব্যবস্থাপনা সম্পাদক নুরুদ্দীন রাসেল, পত্রিকাসহ তাদের বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, প্রতারণা সহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে আদালতে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকতে এই দুজন সাংবাদিক ও আওয়ামীলীগ নেতা পরিচয়ে এবং তোফায়েল সাংবাদিক পরিচয়ে বহু মানুষের ক্ষতি করেছে।
বিশেষ করে বিএনপি জামাত এর নেতকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও টাকার বিনিময়ে মামলা থেকে নাম প্রত্যাহারের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। সরকার পরিবর্তনের পর এখন এই চক্রটি উপদেষ্টা নাহিদের নামভাঙ্গিয়ে প্রতারণা করছে। এখনই যদি এদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে না পারে তাহলে আরো বহু নারী তাদের সতীত্ব হারাবে আর বহু নীরিহ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন সিলেটের সচেতন মহল। তারা এই প্রতারকদের আটক করতে পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন।