বেনাপোল প্রতিনিধি
যশোরের শার্শার উলাশী গ্রামের বাসিন্দা বহু অপকর্মের হোতা সাবেক মেম্বার তরিকুল ইসলাম মিলন ধরাছোয়ার বাইরে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বোমা হামলা, ভাংচুর, নিজ দল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মারধর এবং বিএনপির উপর হামলার কথা এলাকার মানুষের মুখেমুখে ঘুরছে। অসংখ্য অভিযোগের পরও তিনি এখনো গ্রেফতার না হওয়ায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
সূত্র মতে, শার্শায় উলাশী ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার উপজেলা যুবলীগের পদ ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের ওপর নির্যাতন করেছেন। ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর উলাশী বাজারের ব্যবসায়ী মতলেব আলীর কাছে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে মিলন বাহিনীর নেতৃত্বে তাকে কুপিয়ে জখম এবং তার কাঁচামালের আড়ৎ ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সম্প্রতি (গত ২ অক্টোবর) আদালতে মামলা হয়েছে।
যা সিআইডি পুলিশ তদন্ত করছে। এ মামলার আসামিরা হলেন উলাশীর তরিকুল ইসলাম মিলন, জালাল, আব্দুল আলীম, খালপাড়ের মঈন, সোহেল, পূর্ব পাড়ের আশিক হোসেন, বাজার এলাকার রাজু আহমেদ ও দক্ষিণ পাড়ার টুটুল। মিলন মেম্বার এতই বেপরোয়া ছিলেন যে তার হাত থেকে রক্ষা পাননি নিজ দলের নেতাকর্মীরাও। গত বছর ২৭ নভেম্বর তিনি উলাশী ইউনিয়ন পরিষদে যেয়ে আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। তিনি দলবল নিয়ে উলাশী বাজারে চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত অফিস ভাংচুর করেন। সেখানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনার ছবি ছিঁড়ে ফেলেন।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। তিনি মিলনসহ ৭ জনের নামে মামলা করেন ও গত বছর শীতকালে উলাশী বাজারের মুরগির দোকানদার নূর আলী কে রাতে সাইকেল যোগে বাসায় ফেরার সময় হাতুড়ি ও শাবল দিয়ে আনুমানিক ১০/১৫ জন মিলে পিটিয়ে পঙ্গু করে দেই ও কাছে থাকা ৩লক্ষ টাকা লুট করে ।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের ২৮ মার্চ উলাশীতে মিলন বাহিনীর সন্ত্রাসীরা বিএনপির আট নেতাকর্মীকে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করেন। আহতদের মধ্যে শার্শা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ধলদা গ্রামের আমিনুর রহমান নেদা, উলাশী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেম্বর সম্বন্ধকাঠি গ্রামের কদর আলী, উলাশী ইউনিয়ন বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি সদস্য কাঠুরিয়া গ্রামের আতাউর রহমান মতি, বড়বাড়িয়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন আশা, যুবদল নেতা পানবুড়ি গ্রামের আব্দুল হাই, বিএনপি নেতা মৎস ব্যবসায়ী কাঠুরিয়া গ্রামের আব্দুল জলিল ও কৃষক আলম শাহ।
আহতদের মধ্যে কদর আলীর বাম হাত ভেঙে যায়। সেসময় তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খুলতে পারেননি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় মানুষ তার অপকর্ম নিয়ে কথা বলছেন ও আইনের আশ্রয় নিচ্ছেন। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।