আব্দুল্লাহ বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধিঃ
সিলেটের বিশ্বনাথে মাদ্রাসা অধ্যক্ষকে নিয়ে দু’পেক্ষর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষে অন্ততঃ ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুুরে বিশ্বনাথ দারুল উলুম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা ক্যাম্পাসে অধ্যক্ষ মাওলানা নুমান আহমদের অপসারণের পক্ষের এবং বিপক্ষের লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সরকার পতনের পর থেকে একটি পক্ষ নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ এনে মাওলানা নুমান আহমদকে অপসারণের দাবীতে অন্দোলন চলমান রেখেছে। অন্য একটি পক্ষ মরিয়া তাকে বহাল রাখতে।
এতোদিন তিনি মাদ্রাসায় না আসলেও আজ উপস্থিত হয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করেন। এসময় তার পক্ষ এবং বিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হন। এক পর্যায়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। মাদরাসা অধ্যক্ষ পক্ষের ইসলাম উদ্দিন জানান, নিয়মানুযায়ী আজ তিনি ফের দায়িত্ব নিতে অফিসে এলে বহিরাগতরা হামলা চালিয়ে আমাদের ১০-১৫জন শিক্ষার্থীদের আহত করে। অপসারণ চাওয়া সরিষপুর গ্রামের আবদুল হান্নান জানান, অভিযুক্ত মাদ্রাসা প্রধান তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্ত চলাকালীন থাকাবস্থায় জোরপূর্বক আজ মাদ্রাসায় প্রবেশ করেন।
এসময় আমাদের লোকজনের উপর তার বাহিনী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আহত হন ৭-৮জন। মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা নাজিম উদ্দিন জানান, মাওলানা নুমান আহমদ জোরপূর্বক মাদ্রাসায় প্রবেশ করে দায়িত্ব নিতে চাইলে সংঘর্ষ বাঁধে। বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুবেল মিয়া জানান, ছুটি শেষে অধ্যক্ষ যোগদান করতে চাইলে দু’পক্ষে সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। সূত্র জানায়, আওয়ামী সরকার পতনের পর মাদ্রাসা প্রধান মাওলানা নুমান আহমদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগে তাকে অপসারণের আন্দোলন শুরু হয়। তাকে স্বৈরাচারি হাসিনা সরকারের দোসর ও মাদ্রাসার অর্থ-সম্পদ লুন্ঠনকারী অ্যাখ্যা দিয়ে অভিযোগ দেওয়া হয় বিভিন্ন দপ্তরে। অন্দোলনের মুখে এক পর্যায়ে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে মাদ্রাসার প্রভাষক মাওলানা নাজিম উদ্দিনের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে এখনও এসব অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে।
এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুনন্দা রায় বলেন, উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সাবেক অধ্যক্ষের বিষয়ে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ দায়িত্ব পালন করবেন। মাদরাসার পাঠদান কার্যক্রম চলমান থাকবে এবং বহিরাগতরা যাতে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র তৈরি করে দেয়া হবে।
এই সাইটে নিজম্ব খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকে। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো। বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।