আমতলী(বরগুন )প্রতিনিধি:
বরগুনার আমতলীতে জমিজমা বিরোধকে কেন্দ্র তরে উপজেলার চন্দ্রা গ্রামের মো. তৈয়ব আলী মাদবরের বসত ঘর ভাংচুর লুটপাট ও গৃহকর্তাকে মারধোর করেছে প্রতিপক্ষ।জানা গেছে, উপজেলার চাওড়া ইউনিয়নের চন্দ্রা গ্রামে তৈয়ব আলী মাদবর গং ও সেফাজ মাদবর ওরফে সেরাজ মাদবর গংদের মধ্যে কয়েক বছর ধরে চন্দ্রা মৌজার ২৫৬ নং খতিয়ানের মধ্যে ৮ একর ৫০ শতাংশ জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে সম্প্রতি উচ্চতর কোর্টের স্টাটাসকোপায় তৈয়ব মাদবর গংরা।
শনিবার রাত ৩টার দিকে সেফাজ মাদবর ওরফে সেরাজ , সবুজ , হাফেজ, সোহাগ, রুবেল, মাসুদ, কবির মজিদ. আমির, লোকমান, ফারুক, আব্বাস ও বশির তৈয়ব মাদবরের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে গৃহকর্তা তৈয়ব আলী মাদবরকে মারধোর করে হাত পা রশি দিয়ে বেঁধে তার বসত ঘর ভাংচুর করে পাশের খালে ফেলে দেয়।
এ ঘটনায় রবিবার তৈয়ব মাদবর গংদের পক্ষে মো. বাবুল ওরফে বকুল মাদবর (৩৫)বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের সেফাজ ওরফে সেরাজ মাদবর(৪০) হারুন ডাকুয়া(৩৫) মাসুদ(২৫) সবুজ (২৮)কবির(২৮) হাফিজ(৩২) সোহাগ(২৫) রুবেল(২২) , বশির(৩৫) মজিদ(৬৫) ফারুক(২৮) লোকমান(২৬) আমির(২২) রফিক(৩৫)কে আসামী করে আমতলী সিনিয় জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্টে মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তীতে আদেশ দেওয়া হবে বলে আদেশ প্রদান করেন।
সরেজমিনে দেখা যায় ভাত তরকারী খালি যায়গায় পড়ে আছে । পাকের ঘর বাথরুম ভাঙ্গাচুরা কিছু মালামাল পড়ে রয়েছে। বাড়ীর সামনে সড়কের পরে চাওড়া খাল ঐ খালের মধ্যে ঘরের সকল মালামাল ছিন্ন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় পড়ে আছে। সকাল বেলা স্থানীয়রা তৈয়ব আলী মাদবরকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
আহত তৈয়ব আলী মাদবর বলেন আমাকে মারধর করে রশি দিয়ে বেধে আমার ঘরদুয়ার ভেঙ্গে খালে ফেলে দিয়েছে। এসময় আমার পকেটে থাকা নগদ ৫৫ হাজার ২ শত টাকা স্বর্নলংকার অন্যান্য মালামাল নিয়ে গেছে।অভিযুক্ত সেরাজ ওরফে সেফাজ মাদবর বলেন, আমরা তাদের ঘরদুয়ার ভাংচুর করি নাই । আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছে। আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সুত্রে জানা যায়, তৈয়ব আলী মাদবরের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিন্থ রয়েছে।
আমতলী থানার ওসি তদন্ত মো. আমির হোসেন সেরনিয়াবাদ মুঠোফোনে জানান, এ বিষয় কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পাইলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।