হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি’ নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে একটি উগ্রবাদী গোষ্ঠী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা করেছে। সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে ঢুকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে তাতে আগুন দেন এবং সেখানে তাঁরা ভাঙচুরও করেন। এমন ঘৃণ্য ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর।
সোমবার (২রা ডিসেম্বর) রাতে বিক্ষোভটি প্রেসক্লাব চত্বর থেকে শুরু করে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রংপুর মহানগর আহ্বায়ক ইমতিয়াজ আহম্মেদ ইমতি, সদস্য সচিব রহমত আলী, মূখ্য সংগঠক আলী মিলন, মুখপাত্র নাহিদ হাসান খন্দকার, জেলার আহ্বায়ক ইমরান হোসেন, সদস্য সচিব ডা. জামিল, মুখপাত্র ইয়াসির আরাফাত বক্তব্যে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত আনাদের দেশকে দাস হিসেবে রাখতে চেয়েছে। তারা আমাদের দেশের স্থিতিশীলতা সহ্য করতে পারে না। এর ধারাবাহিকতায় আজকে উপ হাইকমিশননে হামলা। গত ১৬ বছরে দেখেছি কীভাবে ভারতের দালালের দেশ শাসন করেছে। এখন দালাল না থাকায় তারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ম নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। যা রুখে দেয়া হবে। এই ভারত সরকার হিন্দু, মুসলিমদের মধ্যে বিভাজন করতে চায়।
সীমান্তে বিএসএফের হাতে নিহতের প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার করতে হবে। ভারতের সঙ্গে প্রত্যেকটা চুক্তি হবে সমভাবে। কোনো তাবেদারি বা দালালি থাকবে না। আমরা তাদের থেকে ন্যায্য বিদেশনীতি চাই। সাধারণ ভারতীয়দের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈরিতা নেই। ভারতের কিছু সংবাদমাধ্যম প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করছে, এদের সংবাদ পাঠ দেখলে মনে হয় মলম বিক্রেতা। ভারতীয় তাদের পণ্যর পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমও বয়কট করতে হবে।