দিনাজপুরের খানসামায় আমনের ভরা মৌসুমেও চালের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। সবজির সরবরাহ বাড়ায় কাঁচাবাজারে স্বস্তি দেখা দিলেও অতি দরকারি খাদ্যপণ্য চালের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিপাকে নিম্নআয়ের খেটে খাওয়া মানুষরা।
আমনের বাম্পার ফলনেও প্রভাব পড়েনি বাজারে। ধান উৎপাদনের ভরা মৌসুমে দাম কমার বদলে উলটো বেড়ে যাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করছেন তারা। গত এক সপ্তাহের মধ্যে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে।
বস্তাভিত্তিক বিক্রিতেও দাম বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। ২৫ কেজির বস্তায় ১০০ টাকা ও ৫০ কেজির বস্তায় ২০০ টাকা পর্যন্ত দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ পরিস্থিতিতে নিম্নআয়ের মানুষ যারা কঠোর পরিশ্রম করে জীবনধারণ করেন, তাদের জন্য চাল কেনা যেন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
উপজেলার বিভিন্ন খুচরা বাজারে সরেজমিন জানা গেছে, গত দেড় থেকে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে খুচরা বাজারে সরু, মোটা, সিদ্ধ সকল প্রকার দাম কেজিতে প্রকার ভেদে ২ থেকে ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৮ সিদ্ধ ৬৫ টাকা, নাজিরশাল ৬৮ টাকা, মাঝারি মানের ব্রি-২৮ এখন কেজি ৬৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে, গুটি স্বর্ণা চালের দাম এক সপ্তাহ আগে ছিল ৫০ টাকা, বর্তমানে তা ৫৪ টাকা কেজি হয়ে গেছে।
অথচ এক সপ্তাহ আগেও প্রকার ভেদে কেজি প্রতি ২ থেকে ৫ টাকা কম ছিল। চালের এই দাম বৃদ্ধির ফলে খেটে খাওয়া মানুষের জন্য চাল কেনা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। উপজেলার পাকেরহাট বাজারে চাল কিনতে আসা রমজান আলী দৈনিক নয়া দিগন্ত কে বলেন, আমন মৌসুমেও চালের কমছে না। হামার মতন গরীব মানুষের কষ্টের শেষ নেই। এরকম করি আর কয়দিন চলা যায়। অপর আরেক ক্রেতা জবেদ আলী বলেন, ‘চালের দাম বাড়ছে, এভাবে বাড়লে সংসার চালানো সম্ভব হবে না।
বাজারে যে টাকা নিয়ে আসি, তা দিয়ে প্রয়োজনীয় বাজার করা কঠিন হয়ে পড়ছে।’ এ ছাড়াও ইপিজেড কর্মী বেলাল, নাজমুল, মোস্তাকিম দৈনিক নয়া দিগন্তকে জানায় ‘চালের দাম গত এক সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। ভরা মৌসুমেও যদি এভাবে চালের দাম বাড়ে, তবে আমাদের সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়বে। কারণ ছোট চাকরি করি, বেতন বাড়েনি। কিন্তু চালসহ অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে। এভাবে আমরা কীভাবে চলব?’