আজ নয়, আগামীকাল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও তদন্ত কমিটির প্রধান ড. নাসিমুল গণি। আজ সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিকভাবে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে আমরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কিছুক্ষণ আগে আরও একদিনের সময় চেয়ে নিয়েছি। কারণ কিছু টেস্ট আজ রাতে হবে। সেগুলোর রিপোর্ট আসলে আগামীকাল মঙ্গলবার আমরা প্রাথমিক প্রতিবেদন দিতে পারব।
গত বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) গভীর রাতে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগে। এতে ভবনের ৬, ৭, ৮, ৯ তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে অষ্টম ও নবম তলায় ক্ষতি হয়েছে বেশি, সেখানকার অধিকাংশ নথি পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে সরকার। কমিটিকে অগ্নিকাণ্ডের কারণ ও উৎস খুঁজে বের করে তিন দিনের মধ্যে প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন—গৃহায়ন সচিব, পুলিশের আইজিপি, কমিটির সদস্যসচিব থাকবেন ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্সের প্রধান, সশস্ত্র বাহিনীর একজন বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞ এবং বুয়েট থেকে তিনজন বিশেষজ্ঞ, একজন সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার।
এদিকে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র তুলে ধরেছেন গণপূর্তের উপসহকারী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০ কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া বলেন, আগুনে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোরের প্রায় ২০০টি কক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে আগুন লেগেছে সেটি তদন্ত শেষেই বলা যাবে।
ভবনটি ব্যবহার উপযোগী থাকবে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, উচ্চপর্যায়ে অনেক টিম এ পর্যন্ত তদন্ত করেছে। বিশেষজ্ঞ টিম যে মতামত দেবে সে অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তবে প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে, ভবনটি মেরামত করা যাবে। বাকিটা তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর বোঝা যাবে।